—প্রতীকী চিত্র।
সীমান্তে মোবাইল নেটওয়ার্ক-বর্জিত এলাকার বিএসএফ-এসএসবি(সশস্ত্র সীমা বল)-এর চৌকিতে ৪জি টাওয়ার বসাচ্ছে বিএসএনএল। জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ার জেলা জুড়ে শুরু হয়েছে সমীক্ষার কাজ। এর মধ্যে ১৩টি সীমান্ত চৌকিতে টাওয়ার বসানোর কাজ শুরু হয়েছে। বাকি ১৩টিতে সমীক্ষা চলছে। দেশের নিরাপত্তা প্রসঙ্গে আন্তর্জাতিক সীমান্তে মোবাইল নেটওয়ার্কের ব্যবস্থা ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলে দাবি ওয়াকিবহাল মহলের।
চিন সীমান্তের কথা মাথায় রেখে, উত্তর-পূর্ব ভারতে নতুন সড়ক থেকে রেলপথ তৈরির কাজ জোরকদমে চলছে। সে পরিস্থিতিতে, মোবাইল নেটওয়ার্ক নেই এমন সীমান্ত-চৌকি রাখা যাবে না বলেই সূত্রের দাবি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক, প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এবং টেলি-যোগাযোগ মন্ত্রকের সমন্বয়ে এই কাজ হচ্ছে বলে সূত্রের দাবি। কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে সীমান্ত এলাকায় ৪জি নেটওয়ার্কের টাওয়ার বসানোর কাজ বিএসএনএল করছে। সূত্রের খবর, পুরো বিষয়টির তত্বাবধান করছে ভারতীয় সেনা।
প্রথমে জলপাইগুড়ি-আলিপুরদুয়ার জেলায় আন্তর্জাতিক সীমান্তবর্তী চৌকি এলাকায় কোথায়, কোনও সংস্থারই মোবাইল নেটওয়ার্ক নেই, চিহ্নিত করতে সমীক্ষা হয়েছে। সে সমীক্ষায় উঠেছে ২৬টি এলাকার কথা। এতে বেশিরভাগই ভূটানের সীমান্ত। হাতে গোনা কয়েকটি এলাকা ছাড়া, বাংলাদেশ সীমান্তের বেশ কয়েকটি চৌকিতে কোনও না কোনও সংস্থার নেটওয়ার্ক রয়েছে। সমীক্ষার পরে কেন্দ্রের নির্দেশ, দ্রুত ওই এলাকায় শক্তিশালী ৪জি টাওয়ার বসাতে হবে।
ভূটান সীমান্ত পাহারা দেয় এসএসবি। এসএসবি-র ২৬টি চৌকিতে বসানো হচ্ছে আধুনিক ৪জি টাওয়ার। বিএসএনএল-এর এই প্রকল্পের নাম ‘স্যাচুরেশন ৪জি’। আপাতত এই প্রকল্পেই অগ্রাধিকার দিতে বিএসএনএল-এর গোটা মোবাইল বিভাগ নেমে পড়েছে। বক্সা পাহাড় থেকে শুরু করে ডুয়ার্সের ঘন জঙ্গল সীমান্তবর্তী সব এলাকায় সমীক্ষা এবং টাওয়ার বসানোর পরিকল্পনা চলছে।
বিএসএনএল-এর ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার বিজয় কর্মকার বলেন, “সীমান্ত এলাকায় স্যাচুরেশন ৪জি নেওটয়ার্ক বসানো হচ্ছে। সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী, কাজ হচ্ছে।” কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলির দাবি, যে সব সীমান্ত চৌকিতে কোনও মোবাইল নেটওয়ার্ক নেই, সেখানে ওয়্যারলেস তথা বেতার সঙ্কেতেই ভরসা রাখতে হয়। ৪জি পরিষেবা থাকলে, চৌকি থেকে সরাসরি ‘লাইভ’ তথ্য আদানপ্রদান সম্ভব, সীমান্তের নিরাপত্তার দিক থেকে যা খুবই জরুরি।