গুলি-কাণ্ডে অভিযুক্তদের খোঁজ শুরু বিএসএফের

ফাঁসিদেওয়ার মুড়িখাওয়াতে গরু পাচারকে কেন্দ্র করে বিএসএফ জওয়ানের গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে স্থানীয় পাঁচ যুবকের খোঁজে তল্লাশি শুরু করল পুলিশ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ৩১ জানুয়ারি ২০১৭ ০১:৫৭
Share:

ফাঁসিদেওয়ার মুড়িখাওয়াতে গরু পাচারকে কেন্দ্র করে বিএসএফ জওয়ানের গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে স্থানীয় পাঁচ যুবকের খোঁজে তল্লাশি শুরু করল পুলিশ।

Advertisement

রবিবার ভোরে ফাঁসিদেওয়া থানার ভারত-বাংলাদেশ মুড়িখাওয়ার বিএসএফের সঙ্গে চোরাকারবারীদের গুলির লড়াই হয়। দুই পক্ষ মিলিয়ে ৮ রাউন্ড গুলি চলে। এক বিএসএফ জওয়ান ছাড়াও দলটির এক সদস্য গুলিবিদ্ধ হয় বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। ভোরের কুয়াশার মধ্যেই দলটি এলাকা থেকে নিয়ে পালায়।

সোমবার সকাল থেকে সীমান্ত লাগোয়া বিভিন্ন গ্রামে তল্লাশি, জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়। সেখান থেকে স্থানীয় পাঁচ যুবকের সম্পর্কে জানা গিয়েছে। ঘটনার পর থেকে তাদেরও খোঁজ নেই। গুলিবিদ্ধ যুবকও দলটির সঙ্গে বিহারের দিকে কোনও পিকআপ ভ্যানে করে পালিয়েছে বলে পুলিশ ও বিএসএফের অনুমান। দার্জিলিঙের পুলিশ সুপার অমিত জাভালগি বলেন, ‘‘দুষ্কৃতীদের খোঁজ চলছে।’’

Advertisement

গত ৩ মাস ধরে বিধাননগর, ফাঁসিদেওয়া এলাকায় গরু পাচারের বিরুদ্ধে অভিযানে নামে পুলিশ। বিএসএফ, এসএসবি-র নিজেদের মত করে ধরপাকড় শুরু করেন। অন্তত ১০টি গাড়ি-সহ শতাধিক গরু, মোষ উদ্ধার হয়। ১২ জনের উপর গ্রেফতার হয়। এর পরেই গাড়ি ছেড়ে গ্রামের হাঁটা পথে গরু পাচারের চেষ্টা শুরু হয়েছে। ছোট ছোট দলে ৪-৫ করে গরু নিয়ে একগ্রাম থেকে অন্যগ্রামে ঢোকে দুষ্কৃতীরা। স্থানীয়দের সাহায্যে প্রয়োজনে বাড়িতে গরুগুলি রাখা হয়। সুযোগ বুঝে তা পাচারের চেষ্টা করা হয়। রবিবারের দলটি চোপড়া থেকে হাফতিয়াগছ হয়ে এলাকায় ঢুকেছিল। গুলিবিদ্ধ জওয়ান আমোদ কুমারের অবস্থা স্থিতিশীল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement