সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দিতে এ বার নিজেরাই জমি কিনতে আসরে নামল বিএসএফ।
বুধবার বিএসএফের কোচবিহার ও জলপাইগুড়ি রেঞ্জের আধিকারিকরা কোচবিহারের জেলাশাসকের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে বৈঠক করেন। প্রশাসন সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই জমি কেনার ব্যাপারে ‘নবান্ন’ থেকে অনুমতি নিয়ে এসেছেন তাঁরা। আগামী কয়েকদিন জেলা প্রশাসন ও বিএসএফ যৌথভাবে সীমান্ত এলাকা ঘুরে দেখবেন। এর পরেই জমি কেনার কাজ শুরু করা হবে। সবমিলিয়ে প্রায় ২৩৫ একর জমি কেনা হবে। কোচবিহারে জেলাশাসক কৌশিক সাহা বলেন, “বৈঠক হয়েছে। এখন যৌথ পরিদর্শনের পরেই পরবর্তী কাজ করবে বিএসএফ।”
কোচবিহার জেলায় ৫৪৯ কিলোমিটার এলাকা বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া। তার মধ্যে মেখলিগঞ্জে সীমান্ত সবথেকে বেশি। ওই এলাকায় ১৬১ কিলোমিটার বাংলাদেশ সীমান্ত রয়েছে। এরপরেই দিনহাটা মহকুমায় ১৪৩ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে সীমান্ত রয়েছে। ওই সীমান্ত এলাকার বিস্তীর্ণ অংশে কাঁটাতারের বেড়া নেই। আবার বেশ খানিকটা অংশে নদীপথ রয়েছে। নদীপথে কাঁটাতার দেওয়ার পরিস্থিতি নেই। বাকি অংশে জমি নিয়ে সমস্যা রয়েছে। এ বার সেই সমস্যা মিটতে চলছে।
বিএসএফ সূত্রের খবর, কাঁটাতার না থাকার সুযোগে বহু এলাকায় বছরভর চোরাকারবারিদের দৌরাত্ম্য চলে। বিশেষ করে শীতকালে ওই দৌরাত্ম্য কয়েক গুণ বেড়ে যায়। বিএসএফের এক আধিকারিক বলেন, “সব জায়গায় কাঁটাতার দেওয়া গেলে চোরাকারবার অনেকটাই বন্ধ করা সম্ভব হবে।”
কোচবিহারের সাংসদ ও নিরাপত্তা বিষয়ক সংসদীয় কমিটির অন্যতম সদস্য পার্থপ্রতিম রায় বলেন, “সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার কাজের পাশাপাশি এখানকার মানুষদের নিরাপত্তার বিষয়টিকেও গুরুত্ব দেওয়া হোক।’’