firing: বন্দুক থেকে গুলি, ‘ভাইরাল’ প্রধানের দেওর

পুলিশ ও তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, দিন কয়েক আগেই ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের কাতলামারি এলাকায় বাসির ও উনসাহাক গোষ্ঠীর বিবাদে দু’জন গুলিবিদ্ধ হয়।

Advertisement

বাপি মজুমদার 

হরিশ্চন্দ্রপুর শেষ আপডেট: ২৭ নভেম্বর ২০২১ ০৮:০৫
Share:

হাতে বন্দুক। পাশ থেকে বন্দুক চালাতে উৎসাহিত করছে কয়েক জন। তার পর ঝোপ লক্ষ করে গুলি ছুড়লেন যুবক। সেই গুলি চালনার ভিডিও আবার ভাইরাল হতেই (ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার) পুলিশ যুবককে গ্রেফতার করেছে। ধৃত যুবক মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর-২ ব্লকের মালিওর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান তোরিনা খাতুনের দেওর আরজাউল হক। আরজাউল দলের সক্রিয় কর্মী।

Advertisement

এদিকে, চোর সন্দেহে এক শ্রমিককে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে ওই পঞ্চায়েতেরই সদস্যা সহরবানুর স্বামী তথা তৃণমূল নেতা মহম্মদ বাহাদুর ও তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে। পরে অবশ্য অপহৃত শ্রমিক ফিরে আসেন। একই পঞ্চায়েতে দুই ঘটনায় শাসক দলের নেতাদের নাম জড়ানোয় অস্বস্তিতে শাসক শিবির। হরিশ্চন্দ্রপুরের আইসি সঞ্জয় কুমার দাস বলেন, ‘‘বন্দুকটি আরজাউল কোথা থেকে পেলেন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশ দু’টি ঘটনারই তদন্ত শুরু করেছে।’’

পুলিশ ও তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, দিন কয়েক আগেই ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের কাতলামারি এলাকায় বাসির ও উনসাহাক গোষ্ঠীর বিবাদে দু’জন গুলিবিদ্ধ হয়। গ্রাম পঞ্চায়েতের ক্ষমতা দখলকে ঘিরে তৃণমূল আশ্রিত ওই দুই গোষ্ঠী সক্রিয় হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ। প্রধানের বিরুদ্ধে দলেরই একাংশ অনাস্থা পেশের পর আদালতের দ্বারস্থ হয়ে স্থগিতাদেশ পেয়েছেন প্রধান। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা রয়েছে। এই আবহেই প্রধানের দেওরের গুলি ছোড়ার ভিডিও ভাইরাল হতেই হইচই পড়ে গিয়েছে। প্রধান এ নিয়ে অবশ্য কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

Advertisement

এদিকে বাহাদুরের একটি মাখনার কারখানা রয়েছে। তার অভিযোগ, তার কারখানায় কাজ করার সময় এক শ্রমিক জানালা কেটে লাগাতার মাখনা চুরি করেছেন। বিষয়টি জানার পর দেখা যায়, ২০ লক্ষ টাকার মাখনা চুরি গিয়েছে। তারপর তিনি পুলিশেও অভিযোগ জানান। এরই মধ্যে বুধবার ওই শ্রমিককে তার লোক জন তুলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। বাহাদুর বলেন,‘‘আমার দাদা শোক সহ্য না করতে পক্ষাঘাতে শয্যাশায়ী। তাই ওকে বুঝিয়ে আলোচনার জন্য নিয়ে গিয়েছিলাম।’’ হরিশ্চন্দ্রপুর-২ ব্লক তৃণমূল সভাপতি হজরত আলি বলেন, ‘‘দল কখনও অন্যায় সমর্থন করে না। আইন আইনের পথেই চলবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement