প্রতীকী ছবি।
বিধানসভা ভোটে উত্তর দিনাজপুরে আসন সমঝোতা নিয়ে কংগ্রেসের সঙ্গে বামেদের আলোচনা শুরু হয়েছে। এর প্রেক্ষিতে হেমতাবাদ বিধানসভায় প্রার্থী খোঁজার কাজ শুরু করে দিয়েছে সিপিএম। হেমতাবাদ থেকে জয়ী হন বামফ্রন্টের দেবেন্দ্রনাথ রায় (দেবেন)। ২০১৯ সালের ২০ মে দেবেন দিল্লি গিয়ে বিজেপিতে যোগ দেন। গত বছরের ১৩ জুলাই বাড়ি থেকে দুই কিলোমিটার দূরে হেমতাবাদের বালিয়াদিঘি থেকে দেবেনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সিপিএমের অন্দরের খবর, হেমতাবাদ কেন্দ্রে দেবেনের কোনও আত্মীয়কে সিপিএম থেকে প্রার্থী করার প্রস্তাব দেওয়া হবে। দেবেনের মৃত্যুর পর তাঁর স্ত্রী চাঁদিমা ও মেয়ে একাদশ শ্রেণির ছাত্রী সৃষ্টিও সক্রিয় ভাবে বিজেপি করছেন। ইতিমধ্যেই তাঁদেরকে বিজেপির বিভিন্ন কর্মসূচিতে দেখাও গিয়েছে।
জেলা বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান তথা সিপিএমের জেলা সম্পাদক অপূর্ব পালের দাবি, দেবেনের স্ত্রী বিজেপিতে হয়েছেন। তাই তাঁকে প্রার্থী হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হবে না। অপূর্ব বলেন, ‘‘দেবেনবাবুর স্ত্রী ও মেয়ে বাদে তাঁর অনেক আত্মীয় এখনও হেমতাবাদে বাম রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। ওই কেন্দ্রে কাকে প্রার্থী করা হবে, সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়নি। দেবেনবাবুর কোনও আত্মীয় রাজি না হলে অন্য কাউকে প্রার্থী করা হবে।’’
বিজেপির জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ লাহিড়ীর দাবি, ‘‘দেবেনবাবু বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর তাঁর সমস্ত অনুগামী ও বেশিরভাগ আত্মীয় সিপিএম ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। তাঁর মৃত্যুর পর বাকি আত্মীয়রাও বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। আসলে সিপিএম যোগ্য প্রার্থী না পেয়ে দেবেনবাবুর আবেগকে কাজে লাগাতে তাঁর আত্মীয়দের প্রার্থী হওয়ার টোপ দিতে শুরু করেছে।’’
অপূর্বর পাল্টা দাবি, “বিধানসভা ভোটে হেমতাবাদের মানুষ সিপিএমের বিরুদ্ধে বিজেপির এই মিথ্যা প্রচারের জবাব দেবেন।’’