North Dinajpur

দু’টি কিডনি বিকল, ২৮ বছরের যুবককে বাঁচাতে সাহায্যের আশায় কালিয়াগঞ্জের দরিদ্র পরিবার

শারীরিক অক্ষমতা নিয়েও ছোট্ট একরত্তি পুত্র সন্তানকে মানুষ করার স্বপ্ন দেখেন অচিন্ত্য বিশ্বাস।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কালিয়াগঞ্জ শেষ আপডেট: ০৬ অগস্ট ২০২১ ১৯:৪৯
Share:

শয্যাশায়ী অচিন্ত্য বিশ্বাস। নিজস্ব চিত্র।

মাত্র ২৮ বছর বয়সেই দু’টি কিডনি বিকল। শারীরিক অক্ষমতা নিয়েও ছোট্ট একরত্তি পুত্র সন্তানকে মানুষ করার স্বপ্ন দেখেন অচিন্ত্য বিশ্বাস। সংসারের একমাত্র রোজগেরে ছেলে এখন মারণ রোগে আক্রান্ত। বাবা, মা, স্ত্রী সন্তানের মুখে দু’বেলা দুমুঠো খাবার যোগাবে কে? অসহায় দুঃস্থ পরিবারের কাতর সাহায্য প্রার্থনা। সুস্থ হোন অচিন্ত্য, চাইছেন তাঁর প্রতিবেশীরাও। কালিয়াগঞ্জের রাউত গাঁওয়ের বিশ্বাস পরিবারের অসহায়তার কথা এখন এলাকাবাসীর মুখে।

Advertisement

মধ্যে বাসা বেঁধে থাকা রোগের জেরে এখন প্রায় শয্যাশায়ী বছর আঠাশের অচিন্ত্য। দু’টি কিডনিই এখন অকেজো। বিগত তিন মাস ধরে তাঁর কিডনি জনিত সমস্যার চিকিৎসা চললেও চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, অচিন্ত্যকে বাঁচাতে এখন একটাই উপায়, কিডনি প্রতিস্থাপন। যার জন্য প্রয়োজন প্রচুর পরিমাণে অর্থ। কিন্তু যা সাধ্যের বাইরে এই দুঃস্থ পরিবারের।

পরিবার জানিয়েছে, গত বছর আচমকা অচিন্ত্যর শারিরীক পরিস্থিতি খারাপ হতে শুরু করে। সে সময় কোনও রকমে চিকিৎসা করাতেই তাঁর কিডনির সমস্যা ধরা পড়ে। সে সময় কিছুটা চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে উঠলেও, ফের প্রায় মাস তিনেক আগে শারীরিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরীক্ষায় ধরা পড়ে দু’টি কিডনিই বিকল।

Advertisement

অচিন্ত্যের স্ত্রী ঋতু আর্তনাদের সুরে বলেন,‘‘স্বামীর এই পরিস্থিতে একেবারে দিশেহারা আমরা। সাধারণ মানুষ থেকে সরকার যদি আমাদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় তা হলে স্বামীকে সুস্থ করে তুলতে পারি।’’ অন্য দিকে, অচিন্ত্যতের বক্তব্য, ‘‘আমি বাঁচতে চাই। ছেলেকে মানুষ করতে চাই।’’

তাঁর বাবা-মায়ের কাতর আবেদন, কিডনি প্রতিস্থাপন করতে অনেক টাকার দরকার। সরকারি বা ব্যাক্তিগত উদ্যোগে কেউ সাহায্য না করলে ছেলেকে বাঁচানো যাবে না। তাই সাহায্যের আবেদন করেছে তাঁর পরিবার। ছেলেকে বাঁচানোর জন্য মা সুদেবী বিশ্বাসের কাতর আর্জি, ‘‘আমার ছেলেকে বাঁচাতে চাই।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement