প্রতীকী ছবি।
মোবাইলে মারণ খেলা খেলতে গিয়ে আরেকটু হলেই প্রাণ যাচ্ছিল শিলিগুড়ির দশম শ্রেণির ছাত্রটির। শহরের উপকন্ঠের ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের ছাত্রটির কাছে খেলার পঞ্চম ধাপে নির্দেশ এসেছিল, ‘‘চলন্ত ট্রাকের নীচে শুয়ে নিজস্বী তুলে পাঠাও।’’ শালবাড়ি এলাকায় ওই কাজ করার জন্য স্কুল ফাঁকি দিয়েছিল সে। আচমকা এক কাকার ফোন এসে গেলে ওই ছাত্র দুম করে বলে ফেলে, ‘‘আমি আত্মহত্যা করতে যাচ্ছি।’’
সঙ্গে সঙ্গে ওই কাকা ছাত্রের বাবাকে জানান। তারপরেই অনেকে মিলে খুঁজতে গিয়ে দেখেন, ছেলেটি শিলিগুড়ি দার্জিলিং সড়কের ধারে বসে কাঁপছে।
তাঁকে উদ্ধারের পরে সে এমন ঘোরে ছিল যে ভাল করে কথা বলতে পারেনি। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া এই ঘটনা নিয়ে এখনও আতঙ্কে ছাত্রটির পরিবার। বাড়িতে কদিন কাউন্সেলিঙের পরে মঙ্গলবার ছাত্রের বাবা স্কুলের কাছে অভিযোগ করার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি এই বিষয়ে আইনজীবী রতন বণিকের কাছে যান। রতনবাবুর বিষয়টি সন্দেহজনক মনে হওয়ায় সহকর্মী অঞ্জন মুখোপাধ্যায় কে ছাত্রটির সঙ্গে কথা বলতে বলেন।
এর পরেই ছাত্রটি ভেঙে পড়ে। রতনবাবু বলেন, ‘‘ব্লু হোয়েল গেম খেলতে গিয়ে বিপত্তি। স্কুল বাসে উঠে স্কুলের গেটে নেমে যেত ওই ছাত্র। বাইরে গেম খেলে বিকেলে বাসে ফিরত। সেদিন পঞ্চম ধাপে ওকে যা করতে বলা হয় তা আত্মহত্যা ছাড়া কিছু নয়। অল্পের জন্য ওকে বাঁচানো গিয়েছে। পাহাড় বন্ধ বলে ওই রুটে এখন হাতে গোনা ট্রাক যায়।’’
এ দিন স্কুলকে বিষয়টি জানানো হয়। স্কুল সূত্রে জানানো হয়েছে, বাসের চালক ও কন্ডাক্টরকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। বিকেলে শিলিগুড়ি সাইবার অপরাধ থানায় সব জানানো হয়। পুলিশ তদন্তে নেমেছে। পুলিশ কমিশনার নীরজকুমার সিংহ বলেন, ‘‘খুব দুশ্চিন্তার বিষয়। মোবাইলটা রাগ করে ওর বাবা ভেঙে ফেলেছেন। সেটা জমা দিলে তদন্তে সুবিধে হবে। এটা নিয়ে অভিভাবক ও স্কুলগুলোকে আরও সতক থাকতে বলব।’’