Black Market of Drinking Water

পানীয় জল বিক্রি নিয়ে ‘কালোবাজারি’

জলপাইগুড়ি জেলার অধীনে থাকা শিলিগুড়ি পুরসভার সংযোজিত ওয়ার্ডগুলিতে জল সমস্যা বেশি। বিশেষ করে ৩৬-৪৪ নম্বরের মত ওয়ার্ডগুলিতে।

Advertisement

সৌমিত্র কুন্ডু

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১৮ মে ২০২৪ ১০:৩৫
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

জলের সঙ্কটের মধ্যে থাকা শিলিগুড়ি শহরে পানীয় জল বিক্রি নিয়ে কালোবাজারি শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ। সমস্যা বেশি সংযোজিত এলাকায়। তিস্তায় বাঁধ মেরামতির কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত জল সমস্যা চলবে। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী পানীয় জলের জারের দাম বাড়িয়েছে বলে অভিযোগ। অভিযোগ পেয়ে পুরসভার তরফে নজরদারিও শুরু হয়েছে। তবে বাসিন্দাদের অনেকে সরাসরি অভিযোগ করতে চাইছেন না বলে ওই সমস্ত জল বিক্রেতাদের ধরতে সমস্যা হচ্ছে বলে দাবি।

Advertisement

জল সরবরাহ বিভাগের মেয়র পারিষদ দুলাল দত্ত বলেন, ‘‘বাসিন্দাদের কাছ থেকে বেশ কিছু অভিযোগ পেয়ে পুরসভার দল বিভিন্ন জায়গায় হানা দেয়। কিন্তু তখন ওই সমস্ত ব্যবসায়ীরা বাড়তি দাম নেওয়ার কথা অস্বীকার করেন। বাসিন্দারাও সামনে এসে বলতে চাইছেন না, যে তাঁরা কত দিয়ে জার কিনেছেন। তাতে ওই ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সমস্যা হচ্ছে। তবে নজরদারি চলছে। ধরা পড়লে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

জলপাইগুড়ি জেলার অধীনে থাকা শিলিগুড়ি পুরসভার সংযোজিত ওয়ার্ডগুলিতে জল সমস্যা বেশি। বিশেষ করে ৩৬-৪৪ নম্বরের মত ওয়ার্ডগুলিতে। নিউ জলপাইগুড়ি লাগোয়া এলাকায়, অনেক ক্ষেত্রেই ৩০ টাকার জলের জার ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বলে অভিযোগ। বাড়তি টাকা দিয়েই অনেকে সে জল নেন বলে দাবি বাসিন্দাদের। অভিযোগ, বিক্রেতারা তাঁদের বলে দিচ্ছেন, এখন জলের সমস্যা রয়েছে, তাই বাড়তি দাম লাগবে। তবে পরে যদি জল না পাওয়া যায়, সে আশঙ্কা করে বাসিন্দাদের অনেকে সরাসরি অভিযোগ জানাতে চাইছেন না।

Advertisement

শিলিগুড়ি পুরসভার বিরোধী দলনেতা বিজেপির অমিত জৈন বলেন, ‘‘অনেক জায়গায় জলের কালোবাজারির অভিযোগ পাচ্ছি। পুরসভার তরফে বিষয়টি দেখা দরকার। অথচ, পুরসভা যথাযথ ভাবে তা দেখছে না। ৪২, ৪৪ নম্বরের মতো ওয়ার্ড থেকে কিছু মানুষ জানিয়েছে।’’ সিপিএমের পুরপ্রতিনিধি তথা জল সরবরাহ বিভাগের প্রাক্তন মেয়র পারিষদ শরদিন্দু চক্রবর্তীর অভিযোগ, অনেক জায়গায় জলের কালোবাজারি হচ্ছে। পুরসভা ঠিক মতো ব্যবস্থা না নিলে, এই প্রবণতা বাড়তে থাকবে। তিনি বলেন, ‘‘এর পরে জলের সমস্যা বেশি হলে, তখন এরাই মাত্রাছাড়া দামে জল বিক্রি করবে। তখন কিন্তু আটকানো মুশকিল হবে। অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। জলের কারবারে যুক্ত ব্যবসায়ীদের ডেকে সতর্ক করা দরকার। ব্যবসায়ী সমিতির মাধ্যমেও কিছু ক্ষেত্রে বার্তা দিলে ভাল হয়।’’

তিস্তার বাঁধ মেরামতির জন্য তিস্তা-মহানন্দা লিঙ্ক ক্যানালে তিস্তার জল দেওয়া বন্ধ রাখা হয়েছে গত ১০ মে থেকে। আরও অন্তত ১০ দিন ওই কাজ চলবে। ক্যানালের জল তুলেই শিলিগুড়ি শহরে জল সরবরাহ করা হয়। তাই এই সময় জলের সঙ্কট দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা পুর কর্তৃপক্ষের। তাঁরা বিকল্প ব্যবস্থা প্রস্তুত রেখেছেন বলে দাবি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement