—প্রতীকী চিত্র।
উপ-নির্বাচনের মুখে রায়গঞ্জ থানার আইসি ও পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে বিজেপি কর্মীদের থানায় ডেকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তৃণমূলে যোগ না দিলে, পুলিশ তাঁদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকিও দিচ্ছে বলে অভিযোগ। দলের কর্মীদের উপরে ‘অত্যাচার’ বন্ধ ও পুলিশের নিরপেক্ষতার দাবিতে শুক্রবার উত্তরবঙ্গের বিজেপি বিধায়কদের দল রায়গঞ্জ থানার সামনে বিক্ষোভ দেখায়। পরে, রাস্তার ধারে তাঁরা ঘণ্টা দু’য়েক অবস্থান বিক্ষোভও করেন। এ দিন আন্দোলনে শামিল হয়েছিলেন বিজেপির উত্তর দিনাজপুর জেলা নেতৃত্ব। গোলমাল এড়াতে পুলিশ থানার প্রধান গেট বন্ধ করে দেয়। আন্দোলনকারীদের তরফে ফালাকাটার বিজেপি বিধায়ক দীপক বর্মণের হুঁশিয়ারি, ‘‘পুলিশ বিজেপি কর্মীদের থানায় ডেকে হুমকি দেওয়া বন্ধ করে নিরপেক্ষতা না ফেরালে, ৮ জুলাই দলের রাজ্য সভাপতির সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে বিজেপি থানা ঘেরাও করবে।’’ বৃহস্পতিবার রাতে বিজেপির তরফে নির্বাচন কমিশনের পর্যবেক্ষকদের কাছে রায়গঞ্জ থানার পুলিশের বিরুদ্ধে বিজেপি কর্মীদের হুমকি ও তৃণমূলের হয়ে কাজ করার অভিযোগ জানানো হয়।
বিক্ষোভ কর্মসূচিতে ফালাকাটার বিধায়ক দীপক ছাড়া, শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ, কোচবিহার দক্ষিণের বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে, মালদহের বিধায়ক গোপালচন্দ্র সাহা, হবিবপুরের বিধায়ক জুয়েল মুর্মু, গাজলের বিধায়ক চিন্ময় দেববর্মণ, গঙ্গারামপুরের বিধায়ক সত্যেন রায় ও তপনের বিধায়ক বুধরাই টুডু যোগ দেন। শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্করের দাবি, লোকসভা ভোটে বিজেপি এই বিধানসভা কেন্দ্রে সাড়ে ৪৬ হাজারেরও বেশি ভোটে এগিয়ে ছিল। তিনি এ দিন বলেন, ‘‘এই বিধানসভার উপনির্বাচনে তৃণমূলের হার নিশ্চিত বুঝতে পেরে, রায়গঞ্জ থানার আইসি ও থানার পুলিশকর্মীরা তৃণমূলকে জেতাতে আসরে নেমেছেন। বিজেপি কর্মীদের থানায় ডেকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে। না শুনলে, তাঁদের বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র ও গাঁজা-মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দিচ্ছে পুলিশ।’’
রায়গঞ্জ থানার আইসি বিশ্বাশ্রয় সরকারের দাবি, ‘‘রাজনৈতিক দলের নেতারা যা খুশি বলতে পারেন। সমস্ত পুলিশকর্মী আইন মেনে কাজ করেন।’’ জেলা তৃণমূল সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালের বক্তব্য, ‘‘উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী জিততে চলেছেন। বিজেপি তা বুঝতে পেরে সহানুভূতি কাড়তে মিথ্যাচারের রাজনীতি করছে।’’