লোকসভা ভোটের নিরিখে শিলিগুড়ি পুরসভার প্রায় অর্ধেক ওয়ার্ডে এগিয়ে ছিল বিজেপি। অথচ, বছর ঘুরতেই শিলিগুড়ি পুরভোটে মাত্র দু’টো ওয়ার্ডে জয় পায় দল। শনিবার উত্তরপ্রদেশে বিপুল জয়ের পরে ফের আশায় বুক বাঁধছেন এখানকার বিজেপি নেতা-কর্মীরা। এই হাওয়ায় ভর করে তাঁরা রাজনৈতিক প্রাসঙ্গিকতা ফিরে পেতে উঠেপড়ে লেগেও গিয়েছেন তাঁরা।
শনিবার বৃষ্টির মধ্যেই হিলকার্ট রোডে জড়ো হয়ে বিজয় উৎসব শুরু করেন দলের নেতা-কর্মীরা। পাড়ায় পাড়ায় শুরু হয় মিষ্টি বিলি। কর্মী-সমর্থকদের চাঙ্গা করতে জেলা নেতারা বৃষ্টিতে ভিজেই মিছিলের সিদ্ধান্ত নেন। শিলিগুড়িতে সংগঠনের ভিত্তি মজবুত হলে তার প্রভাব সহজেই বাকি জেলাগুলিতেও পড়বে বলে মনে করছেন তাঁরা। বিশেষ করে চা বাগান এলাকায়। বন্ধ এবং ধুঁকতে থাকা চা বাগানগুলি খোলার দাবিতে আন্দোলনের এক গুচ্ছ কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে বলে সংগঠন সূত্রের খবর।
শিলিগুড়ি শহরের জন্য অবশ্য দীর্ঘ কর্মসূচি তৈরি করে রেখেছেন বিজেপি নেতৃত্ব। চলতি মাসেই দার্জিলিঙের সাংসদ সুরেন্দ্র সিংহ অহলুওয়ালিয়া শহরে এসে বুথ ধরে ধরে বৈঠক শুরু করবেন। নকশালবাড়ি-মাটিগাড়া-ফাঁসিদেওয়ার প্রত্যন্ত এলাকাগুলিতে কর্মিসভা হবে।
লোকসভা ভোটে মোদী হাওয়ার জোরে শিলিগুড়ি থেকে চা বলয়ে দলের সাফল্য এসেছিল। বিধানসভা ভোটেও ডুয়ার্সে একটি আসন জেতে দল। এ বারে কী হবে? তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তীর পাল্টা দাবি, ‘‘উত্তরবঙ্গের কোনও জায়গাতেই বিজেপি ভিত গাড়তে পারবে না। এখানে সাম্প্রদায়িকতার কোনও স্থান নেই।’’