প্রতীকী ছবি।
সুপ্রিম কোর্টেও রথযাত্রার অনুমতি না মেলায় অন্য কর্মসূচি দিয়ে সেই ঘাটতি পূরণে তৎপর আলিপুরদুয়ারের বিজেপি নেতৃত্ব।
দল সূত্রে খবর, চা-বলয়ে যাতে রথযাত্রা না হওয়ার প্রভাব না পড়ে সে জন্য বিকল্প কর্মসূচি নিয়ে আলোচনাও শুরু হয়েছে। বিজেপির আলিপুরদুয়ার জেলার সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব সরকার বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্ট তো মিছিল মিটিং করার কথা বলেছে৷ তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি প্রতিটি বিধানসভা ক্ষেত্রে একটি করে বড় সভা করার। সেই সভায় রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় নেতৃত্বদের আনা হবে।’’
বিজেপি সূত্রে খবর, হাইকোর্টের রায়ে রথযাত্রা স্থগিত হওয়ার পরে সুপ্রিম কোর্টে অনুমতি মিলতে পারে বলে কর্মীদের আশা দিয়েছিলেন অনেক বিজেপি নেতাই। কিন্তু মঙ্গলবার তা না হওয়ায় নিচুতলার অনেক নেতাকর্মীই কার্যত মুষড়ে পড়েছেন বলে দাবি দলেরই নেতাদের। প্রকাশ্যে অবশ্য বিজেপি নেতারা তা মানতে নারাজ। বিজেপির স্থানীয় নেতাদের দাবি, সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশের জন্য গ্রামবাংলায় কোনও প্রভাব পড়বে না। ওই বিজেপি নেতাদের কথায়, ‘‘গণতন্ত্র বাঁচাও কর্মসূচিকে সামনে রেখে আমাদের প্রচার অভিযান চলছে। রথযাত্রা হলে সেই প্রচার অভিযান অন্যমাত্রা পেত ঠিকই, তবে সে ঘাটতি পূরণ করার জন্য আমাদের বুথ স্তরে মিটিং, মিছিল ছোট সভা তো চলছেই।’’ এই প্রচার অভিযানকে আরও জোরদার করার জন্য আলাদা কর্মসূচিও গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ওই নেতারা।
চা বলয়েও রথযাত্রা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে কোনও প্রভাব পড়বে না বলে বিজেপির শ্রমিক নেতাদের দাবি। ভারতীয় টি ওয়ার্কাস ইউনিয়নের আলিপুরদুয়ার জেলা সভাপতি অসীমকুমার লামা বলেন, ‘‘রথযাত্রা নিয়ে চা বাগানে তেমন কোনও ভাবনা ছিল না। তাই রথযাত্রা হওয়া না হওয়া নিয়ে চা বলয়ে কোনও প্রভাব পড়বে না।’’ বিজেপির আলিপুরদুয়ার জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা বলেন, “সুপ্রিম কোর্টের রায়ে আমাদের দাবিই মান্যতা পেল। আমরা বলে আসছিলাম এ রাজ্যে গণতন্ত্র নেই, আইনশৃঙখলা নেই। এই কারণেই রথযাত্রার অনুমতি দেয়নি আদালত। তাই আদালতের এই রায়ে আমাদের জয় হল।” তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘রথযাত্রা অবৈধ এবং বেআইনি। রথযাত্রা করে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হচ্ছিল। আদালতের রায়কে স্বাগত জানাচ্ছি।’’