ফািইল চিত্র।
এলাকায় কতগুলি মোটরবাইক রয়েছে তার তালিকা তৈরি করতে শুরু করেছে বিজেপি। যাদের বাইক তাঁদের নাম এবং মোবাইল নম্বর জোগাড়ের লিখিত নির্দেশ এসেছে দলের উঁচুতলা থেকে। নির্দেশ পাওয়ার পরে জলপাইগুড়ি জেলার প্রায় উনিশশো বুথে সেই তালিকা তৈরি শুরু হয়েছে বলে সূত্রের খবর। দলের কর্মীদের মধ্যে কাদের বাইক রয়েছে তা সাধারণত যিনি বা যারা সংগঠন দেখেন তাঁরা জেনে থাকেন। বিজেপির নির্দেশ অনুযায়ী একটি বুথে যতগুলি বাইক রয়েছে তার সবকটির চালকের নাম এবং মোবাইল নম্বর তালিকা করে দিতে হবে। সেই বাইক চালক বিজেপির সমর্থক কিনা তা বিবেচনা করার প্রয়োজন নেই বলে নির্দেশ এসেছে। সম্প্রতি বিজেপি জলপাইগুড়ির বুথে বুথে পার্টি ক্লাস করিয়েছে। সেখানে কী বলতে হবে তার বিস্তারিত লিখিত ভাবে জানানো হয়েছে। সে সময়েই বাইক চালকদের মোবাইল নম্বরের তালিকা পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বুথ সংগঠন রচনা শীর্ষক একগুচ্ছ নির্দেশাবলী বিজেপির রাজ্য দফতর থেকে জেলাকে পাঠানো হয়েছে। সেই তালিকায় ৮ নম্বর নির্দেশ হল বুথের বাইক চালকদের তথ্য জোগাড়। এক মাসের মধ্যে পুরো তালিকা জমা দিতে বলা হয়েছে। যদিও বিজেপির জলপাইগুড়ির জেলা সভাপতি বাপি গোস্বামীর মন্তব্য, “এ বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। আমরা সারা বছর সংগঠন করি, মানুষের পাশে থাকি। সারা বছরই বুথের সকলের খেয়াল রাখি, খবর নেই।”
এই তথ্য নিয়ে বিজেপি করবে কী? প্রশ্ন উঠেছে দলের নেতা-কর্মীদেরই একাংশের মনে। দলের নেতাদের একাংশের দাবি, তালিকা থেকে নিরপেক্ষ বাইক চালকদের খুঁজে বের করা হবে এবং ভোটের সময় তাঁদের প্রচারের কাজে লাগানো হবে। আবার বিজেপিরই এক নেতার দাবি, ভোটের আগে দলের কোনও কর্মী আক্রান্ত হলে অন্যদের দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে দিতে বাইক চালকদের সাহায্য নেওয়া হতে পারে। প্রতি ভোটের আগে নির্বাচন কমিশন বাইক মিছিলে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। তারপরেও বিধিভঙ্গের অভিযোগ ওঠে। প্রশাসনের নজরদারি এড়িয়ে পাড়ায় পাড়ায় বাইক মিছিল বা বাইকে নজরদারির পরিকল্পনাও দলের শীর্ষ নেতৃত্ব ছকে থাকতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।
তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলার মুখপাত্র দুলাল দেবনাথের মন্তব্য, “হতে পারে ভোটের আগে বিজেপি পাড়ায় পাড়ায় হার্মাদ বাহিনী তৈরি করবে, তার প্রস্তুতি হয়ত শুরু করেছে।”