গোর্খা ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্টের নেতা রোশন লামা। ফাইল চিত্র
পাহাড়ের রাজনৈতিক নেতা রোশন লামার অস্বাভাবিক মৃত্যুকে ‘খুন’ বলে অভিযোগ করল বিজেপি। রবিবার রাতে লাভার কাছে খাদে পড়ে মৃত্যু হয় গোর্খা ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্টের নেতা রোশনের। যিনি কালিম্পঙের প্রাক্তন কাউন্সিলরও। মঙ্গলবার সেই ঘটনাকেই ‘খুন’ বলে উল্লেখ করে প্রশাসনের কাছে তদন্তের দাবি করলেন পাহাড়ের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্ত।
মঙ্গলবার দার্জিলিঙের সাংসদ রাজু তাঁর সমাজমাধ্যমের অ্যাকাউন্টে রোশনকে নিয়ে পর পর দু’টি টুইট করেন। তারই একটিতে রোশনের মৃত্যুকে ‘ন্যক্কারজনক অপরাধ’ বলে উল্লেখ করেছেন রাজু। লিখেছেন, ‘‘কালিম্পঙের প্রবীণ জিএনএলএফ নেতা রোশন লামার খুনের খবর পেয়ে চমকে গিয়েছি। এই দুঃসময়ে বিজেপি ওঁর পরিবারের পাশে রয়েছে।’’ যদিও রোশনের পরিবার জানিয়েছে, তারা এখনও খুনের বিষয়ে নিশ্চিত নয়।
রবিবারের দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে রোশনের ভাই ভূষণ লামা বলেছেন, ‘‘খবর পেয়ে হাসপাতালে এসে দেখি দাদা মৃত। কালিম্পং থেকে বাড়ি ফিরছিল ও। রাস্তায় কী হয়েছিল তা কিছুই বুঝতে পারছি না। খুন কি না তা-ও এখনই বলতে পারছি না। লাভা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। পুলিশ তদন্ত করছে।’’
কিন্তু ঠিক কী হয়েছিল রবিবার?
বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে, সে দিন রাতে কালিম্পং থেকে মংসংয়ের উদ্দেশে রওনা হয়েছিলেন জিএনএলএফ নেতা রোশন। সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্ত্রী এবং মেয়ে। রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ লাভার কাছে একটি বাইকের সঙ্গে রোশনের গাড়ির সংঘর্ষ হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সেখানেই তুমুল বচসা শুরু হয় দু’পক্ষের মধ্যে। বচসা ক্রমেই গড়ায় হাতাহাতিতে। রাস্তার পাশে রোশন এবং বাইক আরোহী ত্রিশিং শেরপার মধ্যে তুমুল হাতাহাতি চলাকালীন আচমকাই ৫০ থেকে ৬০ ফুট খাদে পড়ে যায় জিএনএলএফ নেতা রোশন লামা। সূত্রের খবর, এর পরই ঘটনাস্থল ছেড়ে চম্পট দেন বাইক আরোহী। খাদ থেকে উদ্ধার করে রোশনকে কালিম্পং জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
রোশনের মৃত্যুতে কালিম্পঙের এসপি অপরাজিতা রাই বলেন, ‘‘ওই ঘটনার পর বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে সোমবার সকালে বাইক আরোহীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। লাভা থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তদন্তও চলছে।’’