শুভেন্দু অধিকারীর সভার জন্য আবার নতুন করে আবেদন করল বিজেপি। নিজস্ব চিত্র।
মালদহের হবিবপুরে শুভেন্দু অধিকারীকে সভার অনুমতি দেয়নি কলকাতা হাই কোর্টও। দিন পনেরো আগে সভার অনুমতি চাওয়া হয়নি জানিয়ে বিজেপির আবেদন খারিজ করেছে উচ্চ আদালত। সেই নিয়ম মেনে এ বার বিরোধী দলনেতার সভার অনুমতি চাওয়া হল। বিজেপির তরফে জানিয়ে দেওয়া হল, ২৭ মে-র পরিবর্তে আগামী ১২ জুন সভা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা।
শনিবার ২৭ মে মালদহের মানিকচকের মথুরাপুর এবং হবিবপুরের কেন্দপুকুরে শুভেন্দুর জনসভা হওয়ার কথা ছিল। বিজেপির দাবি, প্রথমে দুই জায়গাতেই সভার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। সভায় মাইক বাজানোর অনুমতি দিয়েছিলেন মহাকুমাশাসকও। কিন্তু এর পরেই হবিবপুরের পুলিশ জানিয়ে দেয়, সভায় অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। নিয়ম মেনে ১৫ দিন আগে সভার অনুমতি নিতে হয়। কিন্তু বিজেপি মাত্র ১০ দিন আগে অনুমতি চেয়ে আবেদন করে। এ ছাড়াও একই দিনে মানিকচকেও শুভেন্দুর সভা থাকায় নিরাপত্তার কারণে একটি সভার অনুমতি দেওয়া যায়নি।
এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল বিজেপি। কিন্তু আদালতও বিজেপির আবেদনে সাড়া দেয়নি। বিচারপতি বিবেক চৌধুরীর অবসরকালীন বেঞ্চ মামলাটি শোনার পর জানিয়ে দেয়, নিয়ম মেনে অনুমতি চাওয়া হয়নি। মামলাটি খারিজও করে দেন বিচারপতি। এর পরেই ১২ জুন সভা করতে চেয়ে নতুন করে আবেদন করল বিজেপি। তাদের দাবি, শাসক তৃণমূল ষড়যন্ত্র করে শুভেন্দুর সভা আটকে দিয়েছে। উত্তর মালদা সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সভাপতি উজ্জ্বল দত্ত বলেন, ‘‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নবজোয়ারে লোক হয়নি। ওরা ভয় পেয়েছে। শুভেন্দু অধিকারীর সভা হলে তৃণমুল বলে কিছু থাকবে না। পঞ্চায়েতে আসন পাবে না। তাই তাঁর সভার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। সেই কারণে তৃণমূলের অঙ্গুলিহেলনে বিরোধী দলনেতার সভার অনুমতি দিল না পুলিশ।’’
পাল্টা তৃণমূলের জেলা সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সী বলেন, ‘‘আমরা কোথাও সভা করতে বাধা দিইনি। তৃণমূলের ঘাড়ে দোষ চাপানো হচ্ছে! ওরা পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে একশোটা সভা করেছে। কেউ কোথাও বাধা দেয়নি। ওরা বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে চায়। ওরা আইন মানে না। সঠিক ভাবে আবেদন না করায় অনুমতি পায়নি। এরা কথাও গেলে মানুষ ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে যান।’’