মনোযোগ: প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ শুনছেন বিজেপি কর্মীরা। কোচবিহারে শনিবার। নিজস্ব চিত্র।
সকাল থেকেই একটা টানাটান উত্তেজনা ছিল। বেশ কয়েক জায়গায় টেলিভিশনের ব্যবস্থাও করা হয়। বিশেষ করে বিজেপি পার্টি অফিসগুলিতে। তার পরেও প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য শুনতে ভিড় তেমন জমল না কোচবিহারে। বিশেষ করে, কৃষকদেরই তেমন একটা দেখা গেল না কোথাও। বিজেপি অবশ্য দাবি করেছে, দলের কর্মী-সমর্থকরা পার্টি অফিস থেকে বেশ কিছু জায়গায় বসে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য শুনেছেন। বিজেপির কোচবিহার জেলার সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় চক্রবর্তী বলেন, “বিরোধীরা কৃষকদের মধ্যে মিথ্যে প্রচার করে কৃষি আইন নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরির চেষ্টা করছে। প্রধানমন্ত্রীর আজকের বক্তব্য শোনার পরে সাধারণ মানুষের কাছে আর বিরোধীরা যেতে পারবে।’’ জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক জলিল আহমেদ বলেন, ‘‘ইতিহাস সাক্ষী প্রধানমন্ত্রী যা বলেন, তার উল্টোটাই হয়। নোটবন্দি, জিএসটি, দেশের অর্থনীতি প্রতি ক্ষেত্রেই তাই হয়েছে। এ বার কৃষকদের ঠকিয়ে বড় বড় কর্পোরেটদের সুবিধে পাইয়ে দিয়েছেন নয়া কৃষি আইনে। কৃষকরা সেটা ধরে ফেলেছেন। প্রধানমন্ত্রীর আর বলার কী আছে?’’
নতুন কৃষি আইন নিয়ে দিল্লি-সহ গোটা দেশে আন্দোলনে নেমেছেন কৃষকরা। সেই আন্দোলনের ছায়া চলে এসেছে কোচবিহারেও। এক কৃষক শচীন বর্মণ বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর আজকের বক্তব্য শুনতে পাইনি। কিন্তু আমরা যাতে কোনওভাবেই বঞ্চিত না হই, তা নিশ্চিত করা উচিত।” আবার নন্দ বর্মণের মতো কৃষকরা বলেন, “আমার প্রধানমন্ত্রীর উপরে আস্থা আছে। তিনি আমাদের ভাল করবেন।”
কৃষি সংগ্রাম কমিটির নেতা নৃপেন কার্যী বলেন, “নয়া কৃষি আইন কৃষকদের ক্ষতি করবে। গোটা দেশের মতো আমরাও আন্দোলনে আছি।”