Raju Bista

এ বার কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি বিস্তার

জিটিএ সূত্রের খবর, ২০১১ সালের পরে জিটিএ আইন তৈরির জন্য বিভিন্ন দাবির কথা কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য সরকারকে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা জানিয়েছিল।

Advertisement

কৌশিক চৌধুরী

  শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০৫ অগস্ট ২০২৩ ০৯:৫১
Share:

বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা।

লোকসভায় পাহাড়ের জন্য কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি তুললেন বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা৷ শুক্রবার লোকসভায় প্রাইভেট বিলের মাধ্যমে সাংসদ ওই দাবির কথা তোলেন। তাঁর বক্তব্য, এই অঞ্চলের ছেলেমেয়েদের উচ্চ শিক্ষার জন্য কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় জরুরি। দার্জিলিং, কালিম্পং, কার্শিয়াঙের সঙ্গে সাম্প্রতিক কালে মিরিকও পড়াশুনোর ক্ষেত্রে ভাল জায়গা করে নিয়েছে। বহু আগে থেকেই পাহাড়ের বিভিন্ন স্কুল গোটা দেশে পরিচিত। কিন্তু উচ্চ শিক্ষার জন্য পরিকাঠামো প্রয়োজন। সে ক্ষেত্রে পাহাড় পিছিয়ে রয়েছে। সাংসদ বলেন, ‘‘ছেলেমেয়েরা পড়াশুনো করে উচ্চ শিক্ষার জন্য বাইরে চলে যাচ্ছে। এতে এলাকার ব্রেন ড্রেন হচ্ছে। কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় খুবই জরুরি হয়ে পড়েছে।’’

Advertisement

যদিও গত লোকসভা ভোটের আগে করা আশ্বাস আবার বিজেপির ভোটের আগে মনে পড়ছে বলে কটাক্ষ করেছেন ‘গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’ (জিটিএ) প্রধান তথা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার শীর্ষ নেতা অনীত থাপা৷ তাঁর টিপ্পনী, ‘‘বিজেপি নেতারা মিথ্যা কথা বলতে বেশি পছন্দ করেন, বোঝা যাচ্ছে।
গত এক দশকে বার বার এ সব বলেও এক চুলও কিছু করেননি। এখন আবার ভোট আসছে। নতুন করে গোর্খাদের বোকা বানাতে নেমে পড়েছেন রাজু বিস্তারা।’’ তিনি জানান, রাজু বিস্তার প্রাইভেট বিলের কোনও মূল্য নেই। তাতে কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও ভূমিকা নেই। দায়িত্ব বা সিদ্ধান্তও নেই।

জিটিএ সূত্রের খবর, ২০১১ সালের পরে জিটিএ আইন তৈরির জন্য বিভিন্ন দাবির কথা কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য সরকারকে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা জানিয়েছিল। সেখানে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির দাবিও রাখা হয়। কেন্দ্র তা সমীক্ষা করে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলে। এর পরে, তিন দফায় লোকসভা ভোটে বিজেপি সাংসদেরা বিমল গুরুংয়ের সাহায্যে জিতলেও, বিশ্ববিদ্যালয় তো দূরের কথা একটি কলেজও কেন্দ্রীয় সরকার করেনি বলে অভিযোগ। সেখানে রাজ্য সরকার হিল‌্স ইউনির্ভাসিটি, প্রেসিডেন্সি কলেজের ক্যাম্পাসের কাজও করিয়েছে।

Advertisement

পাহাড়ের বিজেপি নেতাদের একাংশ জানান, পাহাড়ের ছেলেমেয়েদের হিল‌্স ইউনিভার্সিটি হওয়ার আগে, সমতলে উচ্চ শিক্ষার জন্য পড়তে যেতে হত। এখনও বহু ছেলেমেয়ে সমতলের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েন। সেখানে পড়শি সিকিমে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। দার্জিলিং, কার্শিয়াং বরাবর ‘এডুকেশনাল হাব’ হলেও, কলেজের পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য দিল্লির কোনও সরকারই ভাবেনি। সাংসদ নায্য দাবির কথা লোকসভায় তুলেছেন। প্রাইভেট বিলের মাধ্যমে তোলা দাবি নির্দিষ্ট মন্ত্রকে পৌঁছলে, ব্যবস্থা হতেও পারে। সাংসদ জানান, লোকসভায় কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় সংশোধিত বিল, ২০২২ পেশ করে দাবির কথা জানানো হয়েছে। সেই সঙ্গে পাহাড়ের স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান এবং ১১ জনজাতির তফসিলি উপজাতির স্বীকৃতির ব্যবস্থাও কেন্দ্র দ্রুত করবে বলে সাংসদ
আশা প্রকাশ করেছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement