mgnrega scheme

বাড়ি যাওয়ার পথে গাড়ি নিয়ে আটকে বিজেপি বিধায়ক! মালতীর কাছে ১০০ দিনের ‘বকেয়া’ দাবি

তৃতীয়ার সন্ধ্যায় মহিষকুচি বাজার এলাকা দিয়ে গাড়ি করে যাচ্ছিলেন বিজেপি বিধায়ক মালতী। অভিযোগ, আচমকা তাঁর পথ আটকে দেন কয়েক জন। তাঁরা স্লোগান দিতে শুরু করেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

তুফানগঞ্জ শেষ আপডেট: ১৭ অক্টোবর ২০২৩ ২২:১৮
Share:

বিজেপি বিধায়কের গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ। —নিজস্ব চিত্র।

শীতলখুচির বিধায়ক বরেন বর্মণের পর এ বার তুফানগঞ্জের বিজেপি বিধায়ক মালতী রাভা রায়। ১০০ দিনের কাজের ‘বকেয়া’ টাকা চেয়ে বিজেপি বিধায়কের গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখাল তৃণমূল। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিজেপি বিধায়কের গাড়ির সামনে বসে পড়েন তুফানগঞ্জ-২ ব্লকের মহিষকুচি-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কর্মীরা। বেশ কিছু ক্ষণ বিধায়ক আটকে থাকার পর পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। অন্য দিকে, এই ঘটনায় শাসকদলের কয়েক জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছেন বিজেপি বিধায়ক।

Advertisement

মঙ্গলবার, তৃতীয়ার সন্ধ্যায় মহিষকুচি বাজার এলাকা দিয়ে গাড়ি করে যাচ্ছিলেন বিজেপি বিধায়ক মালতী। অভিযোগ, আচমকা তাঁর পথ আটকে দেন কয়েক জন। তাঁরা ১০০ দিনের ‘বকেয়া’ চেয়ে স্লোগান দিতে শুরু করেন। কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ এনে বিজেপি বিধায়কের গাড়ির সামনে বসে পড়েন। কোনও ভাবেই বিক্ষোভকারীদের সরাতে পারেননি বিধায়কের নিরাপত্তারক্ষীরা। অন্য দিকে, বিক্ষোভকারীরাও অনড়। ওই খবর পেয়ে বেশ কিছু ক্ষণ পর ঘটনাস্থলে আসে বক্সিরহাট থানার পুলিশ।

এই ঘটনায় তৃণমূলের তীব্র সমালোচনা করে মালতী বলেন, ‘‘ওদের পায়ের তলার জমি সরে গিয়েছে। তাই বিজেপির বিভিন্ন কর্মসূচিকে ভন্ডুল করতে শাসকদলের হার্মাদরা উপস্থিত হচ্ছে। এলাকায় উত্তেজনার পরিবেশ তৈরি করার চেষ্টা করছে।’’ বিধায়ক জানান, তিনি দলীয় কর্মসূচি সেরে ফিরছিলেন। মহিষকুচি বাজার এলাকায় পূর্ব পরিকল্পনামাফিক গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো হয়। যদিও ওই বিক্ষোভ প্রসঙ্গে তৃণমূলের দাবি, এটা সাধারণ মানুষের সম্মিলিত প্রতিবাদ। কোচবিহার জেলা তৃণমূলের যুব সহ-সভাপতি মহেশ বর্মণের দাবি, ‘‘সাধারণ মানুষ বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। আমরা শুধু সাধারণ মানুষের পাশে থেকে তাঁদের বিক্ষোভকে সমর্থন করেছি।’’ এর পাল্টা মালতী বলেন, ‘‘আমি বক্সিরহাট থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। আমায় হেনস্থা করা হয়েছে।’’

Advertisement

উল্লেখ্য, ১০০ দিনের কাজের ‘বকেয়া’র দাবিতে দিল্লি অভিযান করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল প্রতিনিধি দলের সঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা আলোচনা না করায় দিল্লির রাজঘাট এবং যন্তরমন্তরে দু’দিনের কর্মসূচি শেষ করে কলকাতায় ফিরে রাজভবনের সামনে ধর্নায় বসেন অভিষেকরা। তার চার দিনের মাথায় রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে আলোচনার পর আন্দোলন প্রত্যাহার করেন তাঁরা। কিন্তু জেলায় জেলায় তৃণমূলের বিক্ষোভ অব্যাহত। দু’দিন আগেই শীতলখুচির বিধায়কের গাড়ি আটকেছিলেন বিক্ষোভকারীরা। এমনকি, বিধায়কের গাড়িতে লাথি মারতেও দেখা যায় এক জনকে। বিধায়কের পথ আটকে তাঁর গাড়ির সামনে শুয়েও পড়েন কেউ কেউ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement