অমিত শাহ। ফাইল চিত্র।
পুলিশ দলীয় কর্মীদের হয়রানি করছে বলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছে অভিযোগ জানালেন জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। রবিবার সন্ধ্যায় কলকাতায় রাজ্যের জেলা সভাপতি ও সাংগঠনিক কার্যকর্তাদের নিয়ে বৈঠক করেন অমিত। সেখানেই কোচবিহার তথা উত্তরবঙ্গের নেতা-নেত্রীরা ওই অভিযোগ করেন। দলের কোচবিহার জেলা সভানেত্রী মালতী রাভা বলেন, “আমাদের জেলায় মিথ্যে মামলা দিয়ে কর্মীদের হয়রানি করা হচ্ছে। দলকে দুর্বল করার চেষ্টা হচ্ছে। সে-কথা আমরা জানিয়েছি।” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লিখিত ভাবে তাঁকে জানাতে বলেন। বৈঠকে আগামী বিধানসভার দিকে লক্ষ্য রেখে নেতা-কর্মীদের ঝাঁপিয়ে পড়ার নির্দেশ দেন অমিত।
গত লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের হাত থেকে কোচবিহার আসনটি ছিনিয়ে নেয় বিজেপি। এরপর কয়েক মাস জেলায় তৃণমূল বেশ কিছুটা ঝিমিয়ে পড়েছিল। রাজ্যের নেতা-মন্ত্রীরা কর্মসূচিতে যোগ দিতে এসে বিক্ষোভের মুখে পড়ে ফিরে গিয়েছেন। জেলার মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, বিনয়কৃষ্ণ বর্মণরা নিজেদের বিধানসভা কেন্দ্রেই বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন। তৃণমূলের হাত থেকে অধিকাংশ গ্রাম পঞ্চায়েত ছিনিয়ে নিয়েছিল বিজেপি। তবে ধীরে ধীরে অবশ্য অবস্থা পাল্টেছে। ফের নতুন করে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে তৃণমূল। বিজেপির অভিযোগ, পুলিশ ও প্রশাসনকে কাজে লাগিয়েই তৃণমূল নতুন করে সংগঠিত হতে শুরু করেছে। বিজেপি কর্মীদের নামে মিথ্যে মামলা দিয়ে তাঁদের ভয় দেখানো হচ্ছে। অনেককে গ্রেফতার করে জেলেও পাঠানো হয়েছে। যার ফলে কর্মীদের একটি অংশ হতাশ হয়ে পড়েছেন। এর থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর পথ বের করতেই এ দিন ওই প্রসঙ্গ অমিতের সামনে তুলে ধরা হয়।
দলীয় সূত্রের খবর, এই বৈঠকে অমিত জেলা ধরে ধরে সমস্যা ও পরিস্থিতির কথা শুনেছেন। স্বাভাবিক ভাবেই সেই সুযোগকে হাতছাড়া করতে চাননি কেউ। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক জেলার এক নেতা বলেন, “অমিত শাহ সাংগঠনিক নেতা। এই অবস্থায় কী ভাবে লড়াই করতে হবে, সেই পরামর্শ তাঁর কাছ থেকে পাওয়া মানে বড় ব্যাপার।”
দল মনে করছে, লোকসভা-পরবর্তী সময়ে তৃণমূল এবং বাম-কংগ্রেস জোট নতুন করে উজ্জীবিত হওয়ার চেষ্টা করছে। সিএএ-র বিরোধিতা করেও মানুষের মধ্যে প্রভাব বাড়ানোর চেষ্টা করছে বিজেপি-বিরোধীরা। তাই জেলা নেতৃত্বকে প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়তে নির্দেশ দেন প্রাক্তন সর্বভারতীয় সভাপতি।