Mohan Basu

মোহনের বাড়িতে বিজেপির নেতারা

১৭ বছর ধরে জলপাইগুড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন মোহন বসু।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ২৬ মে ২০২০ ০১:২২
Share:

ফাইল চিত্র

মোহন বসুর শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিতে তাঁর বাড়িতে গেলেন জলপাইগুড়ি জেলা বিজেপির একাধিক নেতা। সোমবার বিজেপির উত্তরবঙ্গের যুগ্ম আহ্বায়ক দীপেন প্রামাণিক, জেলা যুব সভাপতি শ্যাম প্রসাদ ও অন্য নেতারা মোহনের বাড়িতে যান। সাধারণত জলপাইগুড়িতে রাজনৈতিক সৌজন্য ব্যাতিক্রম নয়। কিন্তু পুরসভায় প্রশাসক বোর্ড বসানোর পর থেকে জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে মোহন বসুর সমীকরণের টানাপড়েনের মাঝে এই ঘটনায় আলাদা তাৎপর্য্য রয়েছে বলে মনে করছে জেলার রাজনৈতিক মহল।

Advertisement

১৭ বছর ধরে জলপাইগুড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন মোহন বসু। কিন্তু এ বার পুরসভার মেয়াদ ফুরোনোয় প্রশাসক বোর্ড করার সময় তাঁকে বোর্ডে রাখাই হয়নি। অন্যত্র যেখানে প্রশাসক বোর্ড হয়েছে সেখানে বিদায়ী পুরপ্রধান চেয়ারম্যান হয়েছেন। কিন্তু জলপাইগুড়ির ক্ষেত্রে সেরকম হয়নি। যা নিয়ে মোহন বসু সরাসরি তোপ দেগেছিলেন জেলার বর্তমান নেতৃত্বের বিরুদ্ধে। মোহন অনুগামীরাও মুখ খুলেছিলেন। মোহনের সরকারি নিরাপত্তাও প্রত্যাহার করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বিজেপি নেতাদের সাক্ষাৎ করতে যাওয়া যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

এ দিন মোহনবাবুকে প্রশ্ন করা হয়, তিনি কি বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন? দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক মোহনবাবুর মন্তব্য, “এই রকম কোন সিদ্ধান্ত আমি নেইনি। জলপাইগুড়ি শহরের ২৫টি ওয়ার্ডে মোহন বসুর নেটওয়ার্ক রয়েছে। জেলাতেও রয়েছে।” করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুরসভার আরও সক্রিয় হওয়া উচিত সে ইঙ্গিতও করেছেন বিদায়ী চেয়ারম্যান। বিজেপি উত্তরবঙ্গে যুগ্ন আহ্বায়ক দীপেন প্রামাণিক বলেন, “আমরা চাই মোহন দা সুস্থ হয়ে উঠুক। রাজনীতি বিষয়ে মন্তব্য করব না।’’

Advertisement

এ দিকে ফের সরকারি নিরাপত্তা চাইলেন জলপাইগুড়ি পুরসভার বিদায়ী চেয়ারম্যান মোহন বসু। জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশ সুপারকে চিঠি দিয়ে তাঁর আর্জি, একজন পুলিশকে তাঁর নিরাপত্তায় দেওয়া হোক। কোন পুলিশকর্মীকে তিনি রক্ষী হিসেবে চাইছেন তাঁর নামও চিঠিতে জানান। পুলিশ সূত্রের খবর, মোহনবাবুর এখন নিরাপত্তা প্রয়োজন কিনা তা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেন সুপার। কোতোয়ালি থানার অফিসার সহ জেলা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের অফিসারদের নিয়ে একটি দল গড়া হয়েছে। সেই দল খতিয়ে দেখে রিপোর্টও দিয়েছে বলে খবর। যদিও সোমবার পর্যন্ত মোহনবাবু ফের সরকারি নিরাপত্তা পাননি। তৃণমূল জেলা সভাপতি কৃষ্ণ কুমার কল্যাণী বলেন, ‘‘করোনা নিয়ে আমরা ব্যস্ত। এই সময় কে কি বলল সেই বিষয়ে আমার কোন বক্তব্য করার সময় নেই।"

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement