অগ্নিগর্ভ অসম।
নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের প্রতিবাদে বিজেপি ছাড়লেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ মফিজুদ্দিন মিঞা।
গত লোকসভা নির্বাচনের পরে তৃণমূলের প্রাক্তন জেলা সভাপতি তথা বর্তমানে বিজেপি নেতা বিপ্লব মিত্রের হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন কুমারগঞ্জের এই তৃণমূল নেতা। শুক্রবার তিনি জানিয়েছেন, আপাতত নির্দল হয়ে থাকবেন। পাশাপাশি নাগরিক কল্যাণের জন্য আলাদা একটি ফোরাম তৈরির চিন্তাভাবনা রয়েছে বলেও তিনি জানান।
ওই বিল নিয়ে তিনি এ দিন বলেন, ‘‘অসাংবিধানিক একটি বিল তৈরি করেছে বিজেপি সরকার। হিন্দু-মুসলিমের মধ্যে সম্পর্ক নষ্ট করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এতে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভেদ আরও বাড়বে। বাংলাদেশ থেকে আসা প্রত্যেক শরণার্থীকে নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে। নতুন করে তাঁদের নাগরিকত্ব দেওয়ার উদ্দেশ্যের মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে বিভেদের রাজনীতি।’’ তা ছাড়া বিজেপি নেতৃত্বের কাছ থেকে তিনি কোনও সহযোগিতা পাননি বলেও অভিযোগ করেছেন মফিজ। তিনি বলেন, ‘‘জেলা পরিষদে টানাপড়েনের সময়ে বিজেপি নেতৃত্ব কোনও সহযোগিতা করেননি। ওদের মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্ব অনেক।’’
যদিও এ সব অভিযোগ মানতে চাননি বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপির জেলা সভাপতি বিনয় বর্মণ বলেন, ‘‘উনি বিজেপির নীতি, আদর্শের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারছিলেন না। সিএবি বিল নিয়েও ওনার সঠিক ধারণা নেই। তাই এ সব ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলছেন। এতে দলের কোনও ক্ষতি হবে না।’’
রাজনৈতিক মহলের খবর, মফিজের বিজেপি ত্যাগের পেছনে সিএবি বিল ছাড়াও তৃণমূলে ফের যোগদানের বিষয়ও জড়িয়ে থাকতে পারে। বিজেপিতে যাওয়ার পরে উপযুক্ত জায়গা পাননি মফিজ। এই সময়ের মধ্যে তৃণমূলের খেতমজুর সংগঠনের রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ করে ফের তৃণমূলে ফেরার প্রস্তুতি নেন তিনি। যদিও তৃণমূলের জেলা সভাপতি অর্পিতা ঘোষ বলেন, ‘‘কে এল আর কে গেল তাতে তৃণমূলের কোনও কিছু যায় আসে না। আমরা ওঁকে নিয়ে ভাবছিই না।’’
জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষের মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি দফতর মফিজের দলত্যাগে বিজেপির হাতছাড়া হল। এমনিতেই জেলা পরিষদের একের পর বিজেপি সদস্য তৃণমূলে ফিরে গিয়েছেন। তার পরে মফিজের এই দলত্যাগ বিজেপির কাছে বড় ধাক্কা বলেই অনেকে মনে করছেন। মফিজের দলত্যাগে বিজেপি শিবিরে থাকলেন মাত্র ৪ জেলা পরিষদ সদস্য।