বাগডোগরা বিমানবন্দরে বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। নিজস্ব চিত্র।
শিলিগুড়ি পুরসভার ডেপুটি মেয়র তৃণমূলের রঞ্জন সরকারের আয়ের সঙ্গে ‘সঙ্গতিহীন’ দেড় হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে, এমনই অভিযোগ কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের। শুক্রবার বাগডোগরা বিমানবন্দরে ওই অভিযোগ করেন তিনি। সুকান্তের নির্দেশে এ দিন বিজেপির শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলার তরফে শিলিগুড়ি পুরসভার সামনে তৃণমূলের পুরপ্রতিনিধিদের আয়ের সঙ্গে ‘সঙ্গতিহীন’ সম্পত্তি সংক্রান্ত শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবিতে বিক্ষোভ দেখানো হয়। অভিযোগ উড়িয়ে সুকান্তকে পাল্টা আইনি নোটিস পাঠানোর হুঁশিয়ারি দেন রঞ্জন। সুকান্তকে ‘তেমন’ তথ্য সামনে আনার চ্যালেঞ্জ ছুড়েছেন তিনি। যদি তা না পারেন, তা হলে সুকান্তের পদত্যাগের দাবি তুলেছেন রঞ্জন।
সুকান্ত শুক্রবার দিল্লি থেকে বাগডোগরা বিমানবন্দরে নেমে, বালুরঘাটে যান। বাগডোগরায় সুকান্ত বলেন, ‘‘শুনে অবাক হয়ে যাচ্ছি, ডেপুটি মেয়রের নাকি দেড় হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি। টাকার অভাবে শিলিগুড়ি পুরসভা না কি, কাজ করতে পাচ্ছে না। সেখানে ডেপুটি মেয়রের এমন সম্পত্তি হয় কী করে?’’ তাঁর কটাক্ষ, ‘‘শিলিগুড়িতে কী এমন শিল্প রয়েছে, যার সাহায্যে ডেপুটি মেয়রের দেড় হাজার কোটি টাকা হতে পারে! আমি নিশ্চিত, এই টাকা জনগণকে লুট করে খাওয়া হয়েছে।’’
অভিযোগ নস্যাৎ করে ডেপুটি মেয়রের বক্তব্য, ‘‘ওঁদের (বিজেপি) হাতে ইডি আছে, সিবিআই রয়েছে, নানা ধরনের এজেন্সি রয়েছে। সে সব না লাগিয়ে, বাছবিচার না করে নিদান দিচ্ছেন। আত্মহত্যার প্ররোচনা দিচ্ছেন, এটাও ক্রিমিনাল অভিযোগ। আমি আইনি নোটিস পাঠাচ্ছি। ওঁকে (সুকান্ত) আদালতের কাছে জবাবদিহি করতে হবে। যদি তা না চান, তা হলে ক্ষমা চান।’’ এ দিন কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামের সামনে থেকে মিছিল শুরু করে বিজেপি। পুরসভার সামনে বিশাল পুলিশ বাহিনী ব্যারিকেড করেছিল। অভিযোগ, তা ভেঙে দেন বিজেপি নেতা, কর্মীরা। তাঁরা পুরসভার ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করলে, পুলিশ প্রধান প্রবেশদ্বারের কাছে মিছিল আটকে দেয়। সেখানেই বসে পড়েন বিজেপির নেতা-কর্মীরা। তাঁরা তৃণমূলের পুরপ্রতিনিধিদের বিপুল সম্পত্তি বৃদ্ধির অভিযোগ তোলেন, মেয়রের পদত্যাগের দাবি জানান। বিজেপির জেলা সভাপতি অরুণ মণ্ডল বলেন, ‘‘আমরা তৃণমূল পুরপ্রতিনিধিদের বিপুল সম্পত্তির শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবিজানিয়েছি। তা প্রকাশ করা না হলে, তদন্তের দাবি জানাব।’’
শিলিগুড়ি পুরসভার মেয়র তথা বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা গৌতম দেব বলেন, ‘‘বিজেপি কোথায় কী, বলছে তা নিয়ে আমার কোনও বক্তব্য নেই। সুকান্ত মজুমদারেরা নানা সময় নানা কথা বলেই থাকেন। সে সব কথার জবাব আমি কেন দেব?’’