সায়ন্তনের চায়ে পে চর্চা— নিজস্ব চিত্র।
বিধানসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গ টার্গেট সব রাজনৈতিক দলের। আর তাই এখানকার রাজবংশী, আদিবাসী থেকে গোর্খাদের মন পেতে মরিয়া বিজেপি এবং তৃণমূল। গোর্খা নেতা বিমল গুরুং বিজেপির থেকে সমর্থন তুলে নেওয়ায় পাহাড়ের রাজনীতিতে কিছুটা হলেও তৃণমূলের সুবিধা হবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। কিন্তু গোর্খারা বিমলের সঙ্গে নেই বলে দাবি করলেন বিজেপি-র রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু।
বুধবার মেটেলিতে ‘চায়ে পে চর্চা’ কর্মসূচি পালন করে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘‘গোর্খা সম্প্রদায়ের মানুষ কি এত তাড়াতাড়ি তৃণমূলের অত্যাচারের কথা ভুলে যাবেন? এখনও অনেক গোর্খা ভাই মিথ্যা মামলায় জেলে আছেন। আহত অনেকেই হাসপাতালে আছেন। তাই বিমল গুরুং বিক্রি হয়ে গেলেও গোর্খা সম্প্রদায়ের মানুষ তাঁর সঙ্গে নেই। যাঁরা ভাবছেন যে গোর্খা সম্প্রদায়ের মানুষ তৃণমূলের সঙ্গে আছেন তাঁরা মূর্খামি করছেন।’’
উল্লেখ্য কিছুদিন আগেই বিজেপির থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে তৃণমূলের পক্ষ নিয়েছেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার নেতা বিমল। ইতিমধ্যে পাহাড় ও সমতলে একাধিক কর্মীসভা করেছেন। কর্মীসভা থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে তোপও দেগেছেন তিনি।
সায়ন্তন দাবি করেন, পশ্চিমবঙ্গে মিম কোনও প্রভাব ফেলতে পারবে না। মঙ্গলবার খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক দাবি করেন সাতজন বিজেপি সাংসদ তৃণমূলে যোগদান করবেন। এই বিষয়ে সায়ন্তন বলেন, ‘‘জ্যোতিপ্রিয়বাবু নিজেই বিজেপি-তে যোগদানের জন্য যোগাযোগ করছেন।’’ বুধবার সায়ন্তনের সঙ্গে ছিলেন বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি বাপি গোস্বামী, জেলা সাধারণ সম্পাদক মনোজ ভুজেল-সহ জেলা বিজেপি নেতৃত্ব।