Mangal Pandey

কী জানতে চান মঙ্গল, জোর ‘প্রস্তুতিতে’

দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এক বিধায়ক তাঁর বিধানসভায় কত বুথ রয়েছে, কতগুলি অঞ্চল রয়েছে, কতগুলি শক্তিকেন্দ্র ও ক’টি মণ্ডল রয়েছে, তাতে এক বার করে নজর বুলিয়েছেন।

Advertisement

নমিতেশ ঘোষ

কোচবিহার শেষ আপডেট: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৯:০৮
Share:

মঙ্গল পাণ্ডে। ফাইল ছবি।

আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি কোচবিহারে দলের কার্যকারিণী বৈঠকে যোগ দেওয়ার কথা বিজেপির কেন্দ্রীয় সহ-পর্যবেক্ষক মঙ্গল পাণ্ডের। দলের অন্দরে অনেকের রসিকতা, ‘‘বৈঠকে তিনি ছাত্রছাত্রীদের পড়া ধরতে পারেন।’’ ছাত্রছাত্রী বলতে, বিধায়ক থেকে জেলা পদাধিকারী। পাঠ্যক্রমে থাকছে— বিধানসভা, মণ্ডল, শক্তিকেন্দ্র, অঞ্চল, বুথের সাংগঠনিক অবস্থা। দলীয় সূত্রে খবর, তা বুঝতে পেরেই পড়াশোনায় জোর দিয়েছেন বিধায়ক থেকে জেলার পদাধিকারী প্রত্যেকেই। কার এলাকায় কত বুথ, কোথায়, কে দায়িত্বে— সব ঠোঁটস্থ রাখতে শুরু করেছেন প্রত্যেকে। কোচবিহার জেলার দক্ষিণ কেন্দ্রের বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে অবশ্য মুচকি হাসেন। তিনি বলেন, ‘‘জেলার কার্যকারিণী বৈঠক রয়েছে। সেখানে মাননীয় মঙ্গল পাণ্ডে যোগ দেবেন। তাঁর কথা শোনার অপেক্ষায়আমরা রয়েছি। তা নিয়ে আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে, এটুকু বলতে পারি।’’ নাটাবাড়ি কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক মিহির গোস্বামী বলেন, ‘‘বৈঠকে আমি থাকব। সাংগঠনিক বিষয়েআলোচনা হবে।’’

Advertisement

কোচবিহার জেলা বর্তমানে বিজেপির ‘শক্ত ঘাঁটি’ হিসাবেই ধরা হয়। দলীয় সূত্রে খবর, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে সে জেলায় সংগঠনের কী অবস্থা, খোঁজ নিতেই মূলত ওই বৈঠকে যোগ দেবেন মঙ্গল পাণ্ডে। জেলার যে সাংগঠনিক চিত্র রয়েছে, তাতে প্রথমে বুথ কমিটি, তার উপরে অঞ্চল কমিটি, এ ভাবে পর পর মণ্ডল কমিটি, বিধানসভা সমিতি এবং জেলা কমিটি। বিজেপির কোচবিহার সাংগঠনিক জেলায় আটটি বিধানসভা রয়েছে। যার মধ্যে ছ’টি বিজেপির দখলে। দিনহাটা ও সিতাই বিধানসভা তৃণমূলের দখলে রয়েছে। ওই ছ’টি বিধানসভার সংগঠন নিয়ে বিধায়কদের সঙ্গে আলোচনা করতে পারেন বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক। এ ছাড়া, সেখানে জেলা পদাধিকারীর বাইরে মণ্ডল নেতৃত্ব উপস্থিত থাকবেন। মনে করা হচ্ছে, যে কাউকেই তাঁর নিজের এলাকার সংগঠনের পরিস্থিতি কেমন, তা জিজ্ঞাসা করতে পারেন কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক। সেখানে যাতে কেউ আটকে না যান, সে জন্যই নেওয়া হচ্ছে প্রস্তুতি।

দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এক বিধায়ক তাঁর বিধানসভায় কত বুথ রয়েছে, কতগুলি অঞ্চল রয়েছে, কতগুলি শক্তিকেন্দ্র ও ক’টি মণ্ডল রয়েছে, তাতে এক বার করে নজর বুলিয়েছেন। কোন সংগঠনের দায়িত্বে কারা, তাঁদের নামও আর এক বার জেনে নিয়েছেন। ওই বিধায়ক বলেন, ‘‘সবই জানা আমার। কারণ, সব সময়ে সংগঠন নিয়ে থাকি। তার পরেও আর এক বার করে সব দেখে নিচ্ছি। কারণ, সংগঠন নিয়ে বলতে গিয়ে কেন্দ্রীয় সহ-পর্যবেক্ষকের সামনে কোথাও আটকে যাওয়া ঠিক হবে না।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement