প্রতীকী ছবি।
এবার পার্টি ক্লাসে ফিরছে কোচবিহার জেলা বিজেপি। পুজোর আগেই কোচবিহার সাংগঠনিক জেলা জুড়ে দু’দিনের ওই ক্লাসের তোড়জোড় শুরু হয়েছে।
জেলায় বিজেপির ৪২টি মণ্ডল কমিটি রয়েছে। প্রতিটিতেই ওই ক্লাস হবে। তাতে সর্বাধিক ১০০ জন স্থানীয় নেতা-কর্মী অংশ নেবেন। সামাজিক দূরত্ব থেকে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে মহকুমা স্তরে একদিনে ক্লাস শুরু হবে। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দলে নবাগত কর্মী থেকে সাংগঠনিক নানা পদে আসীন নতুন নেতৃত্বই মূলত ওই ক্লাসে অংশ নেবেন। বিধানসভা ভোটের কথা মাথায় রেখে সাংগঠনিক ভিত মজবুত করার কথা মাথায় রেখেই ওই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। দলের জেলা নেতৃত্ব অবশ্য তা মানতে চাননি।
বিজেপির কোচবিহার জেলা সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় চক্রবর্তী বলেন, “পার্টির মতাদর্শের মতো নানা বিষয় জানাতে আগেও এমন কর্মসূচি করা হয়েছে। গত লোকসভা ভোট, করোনা আবহে তা মাঝে করা যায়নি। এ বার পুজোর আগেই ফের দলের নেতা-কর্মীদের নিয়ে প্রতিটি মণ্ডল স্তরে কর্মসূচি করা হচ্ছে।” তিনি জানান, অনেক নতুন সদস্য দলে যোগ দিয়েছেন। তাছাড়া সাংগঠনিক দায়িত্বেও অনেক নতুন মুখ উঠে এসেছে। মূলত তাদের কাছে দলের মতাদর্শ, লক্ষ্য, পরিকল্পনার মতো নানা বিষয় স্পষ্ট করতে দু’দিনের পার্টি ক্লাস হবে।
দলের এক নেতা জানান, কোচবিহার সাংগঠনিক জেলায় মেখলিগঞ্জ মহকুমা ছাড়া চারটি বিধানসভা এলাকা রয়েছে। সাংগঠনিক জেলায় বিধানসভা কেন্দ্র ৮টি। একই দিনে সমস্ত বিধানসভা এলাকায় ওই পার্টি ক্লাসের সূচনাও করা হবে। ইতিমধ্যে এ নিয়ে বিধানসভা-ভিত্তিক নেতাদের বার্তা দেওয়ার কাজ শুরু করা হয়েছে। দীর্ঘদিন পর মুখোমুখি বসে এমন কর্মসূচি ঘিরে ব্যাপক উৎসাহ রয়েছে।
ক্লাস নেবেন কারা? বিজেপি সূত্রেই জানা গিয়েছে, প্রতিটি মণ্ডলে আয়োজিত ওই পার্টি ক্লাসে আলোচক হিসেবে ৬৫ জন নেতৃত্বের তালিকা করা হয়েছে। রাজ্য স্তরের প্রশিক্ষকদের কাছ থেকে তাঁরা ওই দু’দিনের কর্মসূচির ব্যাপারে পরামর্শ পাবেন। সেই গাইডলাইন মেনেই জেলার মণ্ডল এলাকায় বলবেন তাঁরা।
তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য বিজেপির ওই কর্মসূচিকে গুরুত্ব দিতে রাজি হননি। তৃণমূলের কোচবিহার জেলা চেয়ারম্যান বিনয়কৃষ্ণ বর্মণ বলেন, “ওদের ওই কর্মসূচি নিয়ে গুরুত্ব দেওয়ার কিছু নেই। সাধারণ মানুষ ওদের সঙ্গে নেই।” বিজেপি নেতৃত্ব অবশ্য যার পাল্টা বলছেন, তৃণমূলের সঙ্গেই মানুষ নেই।