পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন তারিখ এখনও ঠিক হয়নি। তার মধ্যেই কোচবিহারে প্রার্থী বাছাইয়ের কাজে নেমে পড়ল বিজেপি।
দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রাম ধরে ধরে কট্টর কর্মী-সমর্থকদের নামের তালিকা তৈরি করা শুরু হয়েছে। সেই তালিকা থেকেই এক জনকে প্রার্থী হিসেবে বাছাই করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে সাংগঠনিক ভাবে দুর্বল এলাকাগুলিতে তৃণমূলের বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর উপরেই নির্ভর করে আছে কেন্দ্রের শাসক দল। আগামী ১৫ মার্চ ফালাকাটায় দলের উত্তরবঙ্গের সমস্ত জেলার নেতৃত্বকে নিয়ে বৈঠক রয়েছে বিজেপির। ওই বৈঠকে দলের কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় এবং মুকুল রায়ের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। সেখানে পঞ্চায়েত প্রার্থী নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে।
বিজেপির কোচবিহার জেলা সভাপতি নিখিলরঞ্জন দে বলেন, “পঞ্চায়েত প্রার্থী নির্বাচনে দলের হয়ে যারা দীর্ঘ দিন ধরে লড়াই করছেন, তাঁদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। বহু জায়গায় তৃণমূলের বিক্ষুব্ধরা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। সাংগঠনিক ভাবে যে এলাকা দুর্বল সেখানে শাসক দল থেকে কেউ এলে তাঁকে নিয়ে চিন্তাভাবনা করা হবে।”
তৃণমুল অবশ্য দাবি করেছে, বিজেপি প্রার্থী খুঁজে না পেয়ে তৃণমূলের কর্মীদের টিকিটের টোপ দিয়ে দলে টানতে চাইছে। দলের কোচবিহার জেলার সহ সভাপতি আব্দুল জলিল আহমেদ বলেন, “বিজেপির লোক ক্রমশ কমছে। বহু এলাকায় কাউকেই খুঁজে পাচ্ছে না। আর তৃণমূলে ক্রমশই লোক বেড়ে চলেছে। কোথাও টিকিটের একাধিক দাবিদার থাকতেই পারে। দল যাকে টিকিট দেবে সেই প্রার্থী হবে। কেউই বিজেপির দিকে যাবে না।”
গত লোকসভা উপনির্বাচনের পর থেকেই কোচবিহারে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পাল্টে যায়। বামেদের তৃতীয় স্থানে চলে গিয়ে মূল লড়াই শুরু হয় তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে। পঞ্চায়েত নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে সেই লড়াই তীব্র হয়ে উঠছে।
তৃণমুলের দিনহাটার বিধায়ক উদয়ন গুহ অবশ্য বলেন, “যে দুই-একজন বিজেপিতে ছিল তাঁরাও ওই দল ছেড়ে দিচ্ছে।