কোচবিহারে পুলিশ সুপারের দফতরের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করলেন কোচবিহারের ছ’জন বিজেপি বিধায়ক। নিজস্ব চিত্র।
পঞ্চায়েত ভোটের মুখে বেছে বেছে বিজেপি নেতা এবং দলীয় প্রার্থীদের গ্রেফতার করছে পুলিশ। এই অভিযোগ তুলে কোচবিহারে পুলিশ সুপারের দফতরের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করলেন কোচবিহারের ছ’জন বিজেপি বিধায়ক। তাঁদের অভিযোগ, পুলিশ নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করছে না। তৃণমূলের নির্দেশে পুলিশ বেছে বেছে বিজেপি প্রার্থীদের গ্রেফতার করছে। শাসক তৃণমূল এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
বিজেপি বিধায়কদের অভিযোগ, বিজেপি প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দিতে বাধা দেওয়া হয়েছে। হামলা হয়েছে তাঁদের বাড়িতে। বিজেপি জেলা পরিষদের প্রার্থী তরনিকান্ত বর্মণকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। একই মামলায় তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির নামও রয়েছে। কিন্তু পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করছে না। সিতাই বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপির গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রার্থী টুলটুল বর্মণকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁর নামে কোনও মামলা নেই। বিজেপির জেলা সভাপতি সুকুমার রায় বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্বাচনী প্রচারে কোচবিহারে এসে পুলিশ সুপারকে এমন কী বলে গেলেন যে, পুলিশ সুপার বেছে বেছে বিজেপি প্রার্থীদের গ্রেফতার করছেন। যত ক্ষণ না পুলিশ সুপার এসে কথা বলবেন, এই অবস্থান চলবে।’’
এ বিষয়ে তৃণমূলের মুখপাত্র পার্থপ্রতিম রায় বলেন, ‘‘বিজেপি বুঝে গিয়েছে, পঞ্চায়েত নির্বাচনে তাদের জয় অসম্ভব। বিজেপির পায়ের তলার মাটি সরে গিয়েছে। তাই এ সব করে নাটক করছে। নিজেদের দোষ ঢাকার জন্য আগের থেকেই তারা বলছে, পুলিশ দিয়ে তৃণমূল সন্ত্রাস চালাচ্ছে। বিএসএফের সহযোগিতায় বিজেপি আমাদের কর্মীদের খুন করছে, আমাদের প্রচারে বাধা দিচ্ছে আর এখন এসপি অফিসে ধর্নায় বসে নাটক করছে প্রচারের আলোতে আসার জন্য।’’