প্রতীকী ছবি।
বিজেপির জেলা সভানেত্রী মালতী রাভা থেকে দলের বিধায়কেরা প্রত্যেকেই ছিলেন মিছিলে। তবে শুক্রবার মহকুমাশাসকের দফতরে দিনহাটা উপনির্বাচনে বিজেপির প্রার্থী অশোক মণ্ডল মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময়ে তাঁর সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র দফতরের প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক। জড়ো হয়েছিলেন বিজেপির অনেক সমর্থক। এ বারের বিধানসভা নির্বাচনে শাসকদলের প্রার্থী উদয়ন গুহকে হারিয়েছেন নিশীথ। অশোক প্রবীণ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। তিনিও এক বার বিধানসভা নির্বাচনে উদয়নকে হারিয়েছিলেন। সেই সমস্ত প্রসঙ্গ টেনে প্রত্যয় প্রকাশ করেন তাঁরা।
উদয়ন অবশ্য কাউকেই গুরুত্ব দিতে নারাজ। তিনি বলেন, “মানুষ এ বারে সব ঠিক করে ফেলেছেন। তাই বিজেপির আর কোনও কিছুতেই লাভ হবে না।” তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি গিরীন্দ্রনাথ বর্মণ বলেন, “বিজেপি প্রার্থী কত হাজার ভোটে হারবেন, তা নিয়ে এ বারে আলোচনা হচ্ছে।”
অভিযোগ, বিজেপি প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিতে যাওয়ার সময়ে একদল তৃণমূল সমর্থক বিক্ষোভ দেখান। মিছিল করে যাওয়ার সময় জমায়েত হয়ে থাকা তৃণমূল কর্মী সমর্থকেরা বিজেপি নেতৃত্বের উদ্দেশে ‘গো-ব্যাক’ স্লোগান দিতে থাকেন। ফলে সেখানে সাময়িক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। নিশীথ বলেন, “ভোট পরবর্তী সময়ে বিজেপি কর্মীদের উপরে কী ভাবে সন্ত্রাস হয়েছিল তা সবার জানা। সেই কারণেই আমরা দিনহাটার বাসিন্দাদের কাছে আবেদন করব, শান্তি প্রতিষ্ঠা করার জন্য বিজেপিকে ভোট দিতে।”
অশোক দাবি করেন, ভয় পেয়েছে বলেই তৃণমূল বিজেপির কাজে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, “একুশের বিধানসভা নির্বাচনে উদয়নবাবুরা বলেছিলেন, বিজেপিকে চোখে দেখা যায় না। কিন্তু ভোটের ফলাফল দেখে বুঝতে পেরেছিলেন বিজেপির শক্তি কতটা। তাই এ বার উপনির্বাচন ঘোষণা হতেই বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভয় দেখানো, হুমকি দেওয়া হচ্ছে।”
এ বারের বিধানসভা নির্বাচনে ৫৭ ভোটে তৃণমূল প্রার্থী উদয়ন গুহকে পরাজিত করেছিলেন নিশীথ প্রামাণিক। ফল প্রকাশের সাত দিনের মাথায় বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি। নিশীথ কোচবিহারের সাংসদ। কিছু দিন আগেই তিনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় জায়গা পান। স্বাভাবিক ভাবেই নিজের ছেড়ে যাওয়া আসনে ফের জয় ছিনিয়ে আনা নিশীথের বড় চ্যালেঞ্জ। কিন্ত সে কাজ যে খুবই কঠিন, তা আড়ালে স্বীকার করছেন বিজেপি সমর্থকেরা। কারণ, শাসকদলের প্রার্থী উদয়ন গুহ। আর এ বারে তিনি তাঁর পুরনো জায়গা উদ্ধারে মরিয়া।