bank

South Dinajpur: শূন্যপদ ১১, নিয়োগ ১৯! চাকরিতে দুর্নীতি নিয়ে সরব বিজেপি, কোর্টে যাক, বলল তৃণমূল

জেলা সমবায় ব্যাঙ্কের ‘গ্রুপ ডি’ পদে চাকরিতে দুর্নীতির অভিযোগ। বিজেপি-র দাবি,  ব্যাঙ্কে শূন্যপদ ছিল ১১। নিয়োগ করা হচ্ছে ১৯ জনকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দক্ষিণ দিনাজপুর শেষ আপডেট: ০২ এপ্রিল ২০২২ ১৫:১৬
Share:

তৃণমূলের দাবি, নিয়ম মেনেই নিয়োগ হচ্ছে সমবায় ব্যাঙ্কে। নিজস্ব চিত্র।

দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা সমবায় ব্যাঙ্কের ‘গ্রুপ ডি’ পদে চাকরিতে দুর্নীতির অভিযোগ। বিজেপি-র দাবি, সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কে শূন্যপদ ছিল ১১। কিন্তু নিয়োগ করা হচ্ছে ১৯ জনকে। পাশাপাশি, তৃণমূল ঘনিষ্ঠরাই প্যানেলে স্থান পেয়েছেন বলে অভিযোগ তাদের। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। শাসক দলের চ্যালেঞ্জ, প্রয়োজনে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা করুক বিরোধীরা।

জানা গিয়েছে, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা সমবায় ব্যাঙ্কের জন্য লিখিত পরীক্ষার কৃতকার্য হওয়া ৪০ জনের একটি মেধাতালিকা প্রকাশিত হয়েছে। প্রথম তালিকায় রয়েছেন ১৯ জন। তাঁদের আগামী ৮ এপ্রিলের মধ্যে কাজে যোগ দিতে বলা হয়েছে। বাকি ২১ জনের নাম ‘ওয়েটিং লিস্ট’-এ রয়েছে।

Advertisement

এ দিকে এই মেধা তালিকা ও নিয়োগের তালিকা প্রকাশের পরপরই বিরোধিতায় নেমেছে জেলা বিজেপি। বালুরঘাটে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা বিজেপি কার্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে বিজেপি যুব মোর্চার রাজ্য সম্পাদক অভিষেক সেনগুপ্ত বলেন, ‘‘জেলা কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে। তৃণমূলের বেশ কয়েকজন নেতার আত্মীয়দের তালিকায় নাম থাকায় আমরা মনে করছি নিয়োগের ক্ষেত্রে স্বজনপোষণও হয়েছে।’’ তাঁর আরও অভিযোগ, ‘‘বর্তমানে যিনি ওই সমবায় ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যানের পদে রয়েছেন, তিনি কিছু দিন আগে শেষ হওয়া পুরসভা নির্বাচনে বালুরঘাটের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী ছিলেন এবং জয়ী হন। তিনি ওই ওয়ার্ডের বাসিন্দা না হ‌ওয়ায়, ওঁর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয় এবং পরে মিটমাট হয়ে যায়। ওই ওয়ার্ডের এক তৃণমূল নেতার আত্মীয়ের নামও নিয়োগ তালিকায় রয়েছে। তাই আমাদের দাবি, এই বিষয়ে তদন্ত হ‌ওয়া প্রয়োজন। স্বচ্ছ নিয়োগ ও তদন্তের দাবি নিয়ে আমরা জেলাশাসক এবং সংশ্লিষ্ট দফতরে অভিযোগ জানাচ্ছি।’’

যদিও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা সমবায় ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান বিপ্লব খাঁ বিজেপি-র এই অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, এই অভিযোগ ভিত্তিহীন। লিখিত পরীক্ষার নম্বরের ভিত্তিতে তালিকা তৈরি করা হয়েছে। স্বজনপোষণের অভিযোগ ভিত্তিহীন। তাঁর সংযোজন, ‘‘অভিযোগ থাকলে হাই কোর্টে যেতে পারেন ওঁরা।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement