শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের ভোটে চা বাগান এলাকাগুলিতে আদিবাসী বিকাশ পরিষদকে সঙ্গে নিয়ে চলতে চায় তৃণমূল। সেই সঙ্গে মোর্চার কাছেও স্থানীয় স্তরে একই প্রস্তাব দিতে চায় তারা। রবিবার শিলিগুড়ি সার্কিট হাউজে দলীয় বৈঠকে সেই বার্তাই ব্লক সভাপতিদের দিয়েছেন তৃণমূল জেলা নেতৃত্ব। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব ব্লক সভাপতি এবং শ্রমিক সংগঠনের নেতাদের নিয়ে এ দিন রাতে বৈঠক করেন। ওই বৈঠকের আগে আদিবাসী বিকাশ পরিষদের রাজ্য সভাপতি বিরসা তিরকের সঙ্গেও আলোচনা করেন মন্ত্রী।
তবে মোর্চার সঙ্গে এখনও তাদের কোনও রকম আলোচনা হয়নি বলে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘মূলত মহকুমা পরিষদের ভোটে চা বাগানগুলির পরিস্থিতি এবং ভোটের বিষয় নিয়ে এ দিন আলোচনা হয়েছে।’’
শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা না হলেও অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে নির্বাচনের সম্ভবনা রয়েছে। সেই মতো শাসক এবং বিরোধী দলগুলিও নিজেদের মতো করে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে।
তৃণমূলেরই একটি সূত্র জানিয়েছে, মাটিগাড়া, ফাঁসিদেওয়া, নকশালবাড়ি এবং খড়িবাড়ি শিলিগুড়ির এই চারটি ব্লকে ছোটবড় ৪৬টি চা বাগান রয়েছে। চা বাগান এলাকায় মোট বুথের সংখ্যা ৮৪টি। সেগুলির একাংশে মোর্চা এবং আদিবাসী বিকাশ পরিষদের প্রভাব রয়েছে। সে কারণে ওই সমস্ত এলাকাগুলিতে স্থানীয় সমস্যা নিয়ে তাদেরকে সঙ্গে নিয়েই ভোটে লড়তে চায় তৃণমূল। বৈঠকে নকশালবাড়ি ব্লকের এক নেতা জানান স্থানীয়স্তরে মোর্চার নেতাদের সঙ্গে তারা যোগাযোগ করতে আগ্রহী। তাতে আখেরে ভোটে তাদের লাভ হবে। জেলা নেতৃত্বও সে কথা মেনে নিয়ে কথাবার্তা বলার সম্মতি দেন বলে দলেরই একটি সূত্র জানিয়েছে। মহকুমা পরিষদের ভোটে একয়োগে থাকলে স্থানীয় সমস্যাগুলি মেটানোর ক্ষেত্রে পরবর্তীতে সমস্ত রকম সহোগিতাকরা হবে আশ্বাস দিতে বলা হয়েছে। তবে মোর্চার তরফে তা কতটা মেনে নেওয়া হবে তা নিয়েই প্রশ্ন রয়েছে তৃণমূলের ওই নেতাদের মধ্যেই।
আদিবাসী বিকাশ পরিষদের রাজ্য সভাপতি বিরসা তিরকে বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়ন কাজকে আমরা সবসময়েই স্বাগত জানিয়েছি। সেই মতো আমরা তার সঙ্গে রয়েছি। এ দিন মন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।’’