বিনয় তামাং
সব ঠিক থাকলে লোকসভা ভোটের পরে অগস্ট বা সেপ্টেম্বরে পাহাড়ে জিটিএ-র নির্বাচন হতে পারে। মঙ্গলবার এমনটাই জানিয়েছেন জিটিএ-র প্রশাসনিক বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক চেয়ারম্যান বিনয় তামাং। তাঁর বক্তব্য, জিটিএ-র নির্বাচন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁদের একপ্রস্থ আলোচনা হয়েছে। রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গেও কয়েক দফায় বৈঠক করেছেন তাঁরা। লোকসভার পরে নির্বাচনের ব্যাপারে সম্মতি জানিয়েছে রাজ্য। ২৩ জানুয়ারি দার্জিলিংয়ের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন লোকসভা ভোটের পর জিটিএ চুক্তির রিভিউ করবে রাজ্য সরকার। তবে রিভিউয়ের পরে না কি আগেই জিটিএ-র নির্বাচন হবে তা অবশ্য খোলসা করেননি বিনয়।
২০১১ সালের ১৮ জুলাই কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয় জিটিএ চুক্তি। ওই বছর ২ সেপ্টেম্বর রাজ্য বিধানসভায় পাস হয় জিটিএ বিল। ২০১৪-র ১৪ মার্চ থেকে কার্যকর হয় চুক্তি। পাঁচ বছরের জন্য স্বাক্ষরিত জিটিএ চুক্তির মেয়াদ ফুরিয়েছে অনেক দিন আগেই। বর্তমানে জিটিএ-র কাজ পরিচালনা করছে প্রশাসনিক বোর্ড। ২০১২ সালের ২৯ জুলাই জিটিএ-র প্রথম নির্বাচন হয়। জিএনএলএফ ওই নির্বাচন বয়কট করেছিল। ১৩টি আসনে প্রার্থী দিয়েও মোর্চার বিরুদ্ধে ভয় দেখানোর অভিযোগ তুলে শেষ পর্যায়ে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছিল সিপিএম। ১৭টি আসনে লড়াই করেছিল তৃণমূল। তবে ৪৫টি আসনের সবকটিতেই জয়ী হয় গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার প্রার্থীরা।
জিএনএলএফ-র সাধারণ সম্পাদক মহেন্দ্র ছেত্রী বলেন, ‘‘জিটিএ চুক্তির বৈধতা নিয়ে আমরা হাইকোর্টে মামলা করেছি। সেই মামলা এখনও চলছে। এই পরিস্থিতিতে জিটিএ-র নির্বাচন নিয়ে কোনও রাজনৈতিক দলের এমন কোন মন্তব্য করা উচিত নয় যা আদালত অবমাননার পর্যায়ে পরে। আমরা মনে করি পাহাড়ের সমস্যা সমাধানের জন্য ষষ্ঠ তফশিলই একমাত্র উপায়।’’
বিনয় বলেন, ‘‘আইন মেনেই জিটিএ চলছে। আর আইন মেনেই জিটিএ-র নির্বাচন হবে।’’ জন আন্দোলন পার্টির সভাপতি হরকা বাহাদুর ছেত্রী বলেন, ‘‘আইন মেনে নির্বাচন হলে আমরা যোগ দেব।’’