ভোট অবাধ করতে কমিশনকে আর্জি বিমানের

বিমানবাবু বলেন, ‘‘আগামী মাসে রাজ্যে সাতটি পুরসভার নির্বাচন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ হওয়া প্রয়োজন৷ মানুষ যাতে নির্বাচনে স্বাধীন মত দিতে পারে সেটাও নির্বাচন কমিশনকে নিশ্চিত করতে হবে৷’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ১৯ জুলাই ২০১৭ ০২:২৯
Share:

নেতৃত্বে: জলপাইগুড়িতে বিমান বসু। মঙ্গলবার। নিজস্ব চিত্র

পুর নির্বাচন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিক রাজ্য নির্বাচন কমিশন। মঙ্গলবার জলপাইগুড়িতে এমনই দাবিই করেছেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু৷ সরাসরি কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি না তুললেও, নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করতে রাজ্য পুলিশের ওপর যে তাদের ভরসা নেই তাও বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি।

Advertisement

বিমানবাবু বলেন, ‘‘আগামী মাসে রাজ্যে সাতটি পুরসভার নির্বাচন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ হওয়া প্রয়োজন৷ মানুষ যাতে নির্বাচনে স্বাধীন মত দিতে পারে সেটাও নির্বাচন কমিশনকে নিশ্চিত করতে হবে৷’’ রাজ্য পুলিশ দিয়ে নির্বাচন যে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ হওয়া সম্ভব নয় তাও এ দিন জানিয়ে দিয়েছেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান৷ বিমানবাবু বলেন, ‘‘রাজ্য পুলিশ দিয়ে সব কিছুই কেঁচে গণ্ডুষ হয়ে যাচ্ছে৷’’

গত সোমবার বিকালে ধূপগুড়িতে একটি কর্মিসভায় যোগ দেন বিমানবাবু৷ ওইদিনই ধূপগুড়ি পুরসভার ষোলোটির মধ্যে দশটি আসনে প্রার্থীদের নামও ঘোষণা করেন তিনি৷ মঙ্গলবার সিপিএমের জলপাইগুড়ি জেলা দফতরে জেলা বামফ্রন্টের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিমানবাবু৷ বৈঠকে ধূপগুড়ির বাকি ছ’টি আসনে প্রার্থী নিয়ে আলোচনা হয়৷ বৈঠক শেষে বিমানবাবু জানান, বুধবার ফের জেলা বামফ্রন্ট আলোচনায় বসবে৷ এবং সেই আলোচনা থেকেই বাকি ছ’টি আসনে শরিকরা কে কাকে প্রার্থী করবে তা ঠিক করা হবে৷ এ দিনের বৈঠকে বিমানবাবু জেলার বাম নেতাদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘‘গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হলে ধূপগুড়ি পুর নির্বাচনে সাফল্যের সঙ্গে লড়াই করতে হবে৷’’

Advertisement

পাহাড় সমস্যার সমাধানেও ফের একবার ত্রিপাক্ষিক বৈঠক করার দাবি তোলেন বিমানবাবু৷ তাঁর অভিযোগ, রাজ্য সরকারের একের পর এক উস্কানিমূলক পদক্ষেপের ফসল হিসাবে পাহাড় জ্বলছে৷ এরফলে দার্জিলিং-এর অর্থনীতিরও ক্ষতি হচ্ছে৷ আলোচনা ছাড়া এই সমস্যার নিস্পত্তি সম্ভব নয়৷ তাই অবিলম্বে দার্জিলিং সমস্যা নিয়ে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হওয়া জরুরি৷

রাজ্যজুড়ে এই মুহূর্তে সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে৷ সে প্রসঙ্গে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান এ দিন বলেন, ‘‘এই সরকার ক্ষমতায় আসার সময় বলেছিল বছরে দু’লক্ষ বেকারের চাকরি হবে৷ কিন্তু সাত বছরেও তা হয়নি৷ চাপে পড়ে এখন মানুষের চোখে ঠুলি পড়াতে এসব করছে৷’’ তাঁর দাবি, সিভিক নিয়োগ নয়, রাজ্য সরকারের উচিত এর বদলে পুলিশে নিয়োগ করা৷

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement