—ফাইল চিত্র।
শিলিগুড়ি ও পাহাড়ের পরে ডুয়ার্সের বিভিন্ন জায়গায় সভা করবেন বিমল গুরুং। সোমবার এমনই জানালেন ডুয়ার্সের গুরুংপন্থী মোর্চা নেতারা। তাঁরা জানিয়েছেন, কবে কোথায় গুরুংয়ের সভা হবে তা নিয়ে তাঁদের সঙ্গে মোর্চার কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের আলোচনা চলছে। ডুয়ার্সে গুরুং অন্তত এক মাস থাকবেন বলেও দাবি তাঁদের।
কয়েক দিন আগে আচমকাই কলকাতায় প্রকাশ্যে আসেন বিমল গুরুং। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলকে সমর্থন করার কথা ঘোষণা করেন তিনি। প্রায় সাড়ে তিন বছর পাহাড়-ছাড়া থাকার পরে গুরুং প্রকাশ্যে আসায় ডুয়ার্সেও মোর্চার কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে উন্মাদনা ছড়ায়। অনেক দিন ধরে নিষ্ক্রিয় থাকা গুরুং-পন্থী মোর্চা শিবিরের নেতা-কর্মীরা ফের সক্রিয় হয়ে ওঠেন। রবিবার গুরুংয়ের জনসভায় যোগ দিতেও ডুয়ার্স থেকে প্রচুর মোর্চা-সমর্থক শিলিগুড়িতে যান।
তিনি যে খুব শীঘ্রই পাহাড়ে যাবেন, তা রবিবারের জনসভায় জানিয়ে দেন গুরুং। আলিপুরদুয়ারের মোর্চার নেতারা জানিয়েছেন, তার পরেই তিনি ডুয়ার্সে আসবেন। মোর্চার মধ্য ডুয়ার্স কমিটির নেতা সুমন তামাং বলেন, “গোর্খারা এখনও অনেক কিছু থেকে বঞ্চিত। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে থাকার বার্তা দেওয়া বিমল গুরুং ডুয়ার্সের ধারাবাহিক উন্নয়ন করবেন বলে আমরা আশাবাদী। সে জন্য এখানকার মানুষও বিমল গুরুং কবে ডুয়ার্সে আসবেন সেই অপেক্ষায় রয়েছেন।’’ সুমন জানান, পাহাড় থেকে নেমে এক মাসের জন্য ডুয়ার্সে থাকবেন বিমল। সেই সময় বীরপাড়া, নাগরাকাটা, মালবাজার, কালচিনি, জয়গাঁ, কুমারগ্রামের বিভিন্ন জায়গায় সভা করবেন তিনি।
ডুয়ার্সে বীরপাড়া দিয়েই গুরুং সভা শুরু করুন, এমনই চাইছেন মোর্চা নেতারা। তাঁদের বক্তব্য, গুরুং তৃণমূলকে সমর্থন করার কথা ঘোষণা করতেই বীরপাড়া-সহ মাদারিহাটে বিজেপি প্রভাব বাড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। তাই তাঁরা চাইছেন, বীরপাড়া দিয়েই ডুয়ার্সে সভা শুরু করুন গুরুং। সুমন বলেন, “এ বিষয়ে একটি প্রস্তাব ইতিমধ্যেই মোর্চার শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে পাঠানো হয়েছে। বিমল গুরুং ডুয়ার্সে এলে কোথায় থাকবেন, তা-ও দেখা হচ্ছে।”
মাদারিহাটের বিজেপি বিধায়ক মনোজ টিগ্গা অবশ্য বলেন, “যে কোনও নেতা তাঁর দল বা সংগঠনের জন্য প্রচার করতেই পারেন। কিন্তু রাজ্যের মানুষ আগামী বিধানসভা ভোটে বিজেপিকে ক্ষমতায় আনবেন বলে ঠিক করে ফেলেছেন।”