প্রচার: মানিকচকের ডোমহাটে শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে ফ্লেক্স ঝোলাতে ব্যস্ত অনুগামীরা। নিজস্ব চিত্র
শুভেন্দু অধিকারী দল থেকে ইস্তফা দিতেই জল্পনা তৈরি হয়েছিল মালদহের বিধায়ক দীপালি বিশ্বাসকে নিয়ে। সেই জল্পনা আরও জোড়াল করে তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন দীপালির স্বামী রঞ্জিত বিশ্বাস। শুক্রবার হোয়াটস অ্যাপের মাধ্যমে হাতে লেখা চিঠি মালদহের তৃণমূলের জেলা সভাপতি মৌসম নুরের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
এরই মধ্যে, এ দিনই গেরুয়া রঙের ব্যানারের উপরে শুভেন্দুর ছবি দেওয়া পোস্টারও পড়েছে গাজলে। আজ, শনিবার মেদিনীপুরে অমিত শাহের সভায় দীপালি এবং রঞ্জিতের হাজির থাকবে কি না তা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে তৃণমূলের অন্দরে। বিধায়ক ঘনিষ্ঠদের দাবি, দীপালি এবং রঞ্জিতের তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া এখন শুধু সময়েরই অপেক্ষা। যদিও দলের প্রতি ক্ষোভ উগড়ে দিলেও দলবদল নিয়ে মন্তব্য করতে নারাজ রঞ্জিত। তিনি বলেন, “সিপিএম ছেড়ে আমি ও আমার স্ত্রী দীপালি তৃণমূলে যোগ দেওয়ার সময় একাধিক প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। সে সব পূরণ না করে দল আমাদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। তাই আমি তৃণমূলের সমস্ত পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে মৌসম নুরকে হোয়াটস অ্যাপে চিঠি দিয়েছি।” মৌসম বলেন, “দলের প্রতি ক্ষোভের কথা রঞ্জিতবাবু জানিয়েছেন। তাঁকে দেখা করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।”
বিধানসভা নির্বাচনে সিপিএমের টিকিটে জয়ী হয়ে ওই বছরই তৃণমূলের ২১ জুলাই মঞ্চে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে দলবদল করেছিলেন দীপালি। তাঁকে গাজলের তৃণমূলের ব্লক সভাপতি করা হয়েছিল। পরে সেই পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় তাঁকে। দীপালিকে জেলার সহ-সভাপতি এবং তাঁর স্বামী রঞ্জিতকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। তবে দলে গুরুত্ব পাচ্ছিলেন না বলে ঘনিষ্ঠ মহলে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছিলেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, গাজল পুরসভা, দমকল কেন্দ্র, মহিলা কলেজ কিছুই হয়নি। ফলে গাজলবাসীর কাছে অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে দীপালিকে।
ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, এখন কলকাতাতেই রয়েছেন দীপালি এবং রঞ্জিত। মেদিনীপুরে অমিত শাহের সভায় শুভেন্দুর হাত ধরে ফের বিজেপিতে দলবদলের সম্ভাবনা রয়েছে তাঁদের। বিজেপির জেলা সভাপতি গোবিন্দচন্দ্র মণ্ডল বলেন, “মেদিনীপুরে অমিত শাহের সভায় অনেক চমক থাকবে।” এ দিন দিনভর দীপালির ফোন বন্ধ ছিল। রঞ্জিত বলেন, “দলবদলের বিষয়ে এখনই কোনও মন্তব্য করব না।”