ভোটের কাজে যেতে গাড়ি নেই, অবরোধ

রবিবার সকালে ইসলামপুর শহরের বাসস্ট্যান্ডে তাঁদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন আঞ্চলিক পরিবহণ দফতরের আধিকারিকও। পরে বাসের ব্যবস্থা হলেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ইসলামপুর ও রায়গঞ্জ শেষ আপডেট: ১৪ মে ২০১৮ ০২:১৯
Share:

অবরোধ: করণদিঘিতে ভোটকর্মীদের বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র

ভোট নিতে যাবেন ভোট কর্মীরা। কিন্তু প্রত্যন্ত এলাকার ব্লকগুলোর ডিসিআরসিতে পৌঁছনোর জন্য গাড়ি নেই। ঘণ্টা খানেক অপেক্ষা করে তিতিবিরক্ত ভোট কর্মীরা ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন। রবিবার সকালে ইসলামপুর শহরের বাসস্ট্যান্ডে তাঁদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন আঞ্চলিক পরিবহণ দফতরের আধিকারিকও। পরে বাসের ব্যবস্থা হলেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। করণদিঘি যাওয়ার বাস না পেয়েও এ দিন সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ রায়গঞ্জের শিলিগুড়িমোড় এলাকায় কালিয়াগঞ্জের বাসিন্দা প্রায় একশো ভোটকর্মী ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা অবরোধ চলার পর ট্র্যাফিক পুলিশের হস্তক্ষেপে প্রশাসন সেখানে দু’টি বাস পাঠালে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। ভোটের আগের দিনই এই অবস্থা নিয়েই প্রশাসনের ভূমিকায় প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই।

Advertisement

রায়গঞ্জ ট্র্যাফিক পুলিশের ওসি পিনাকী সরকারের দাবি, ভোটকর্মীদের করণদিঘিতে পৌঁছে দেওয়ার দু’টি বাস কোনও কারণে এ দিন আসতে দেরি করে। ভোটকর্মীদের দাবি, প্রশাসন নির্বাচন পরিচালনার জন্য বেশির ভাগ বেসরকারি বাস নিয়ে নেওয়ায় এ দিন করণদিঘিগামী কোনও যাত্রীবাহী বেসরকারি বাসও মেলেনি। সঠিক সময়ে করণদিঘির ভোটসামগ্রী গ্রহণ ও বিতরণ কেন্দ্রে না পৌঁছতে পারলে প্রশাসন ব্যবস্থা নিতে পারে। এই আতঙ্কে তাঁরা বাসের দাবিতে পথ অবরোধ করতে বাধ্য হন।

অন্য দিকে, এ দিন সকালে ইসলামপুরের বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছন স্কুল শিক্ষক থেকে শুরু করে বিভিন্ন সরকারি দফতরের কর্মীরা। দেখেন, শতাধিক ভোট কর্মী দাঁড়িয়ে রয়েছেন অথচ বাস, ছোট গাড়ি কিছুই নেই। বিডিও অফিসের নম্বর জোগাড় করে ফোন করলেও কেউ ফোন তোলেননি বলে অভিযোগ। অবশেষে রাস্তায় বসেই বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। ভোট কর্মীদের মধ্যে বিক্রম দাস, পঙ্কজ ভগত, সুখেন্দু দাসদের কথায়, ‘‘সকাল সাড়ে ছটা থেকে দাঁড়িয়ে। প্রশাসনের কর্মীদের এক জনের অন্তত বিষয়টি দেখা উচিত ছিল।’’ এ দিন আঞ্চলিক পরিবহণ দফতরের আধিকারিক থেন্ডুপ ভুটিয়ার গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন ভোট কর্মীরা। ঘটনাস্থলে পৌঁছন মহকুমাশাসক দফতরের কর্মীরাও। মহকুমাশাসক সেরিং ওয়াই ভুটিয়া বলেন, ‘‘গোয়ালপোখর ২-এর বাস কিছুটা দেরিতে পৌঁছয়।’’ এ দিন অবব্যস্থার অভিযোগ তুলেছেন চোপড়ার দুই স্কুল শিক্ষকও। তাঁদের দাবি, ট্রেনিং-এর পরেই তাঁরা চিঠি পান। কিন্তু ইটাহারে সকাল থেকে দাঁড়িয়েও তাঁরা বাস পাননি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement