গনি-জাদু কি ফিকে হচ্ছে

মালদহ মানে যেমন আম, তেমনই মালদহের রাজনীতিতে একটাই মিথ ‘গনিখান’। এই ছিল কংগ্রেসের রাজনৈতিক পরম্পরা। এবারের পঞ্চায়েত ভোটে গনি খানের সেই গড়ে কংগ্রেস বেলাইন হয়ে পড়ল। তৃণমূলকে রুখতে এবার তাঁরা সিপিএমের সঙ্গে আংশিক সমঝোতাও করেছিল।

Advertisement

জয়ন্ত সেন

মালদহ শেষ আপডেট: ১৯ মে ২০১৮ ০১:৫৯
Share:

৩৮ আসনের জেলা পরিষদে কংগ্রেস ছিল ১৬। হল ২। বামেরাও ছিল ১৬, হল শূন্য। বিজেপির কিছুই ছিল না। হল ৬। তৃণমূল ৬ থেকে বেড়ে পৌঁছল ২৯-এ। শুধু তাই নয়, এই অঙ্ক তৃণমূলের এককভাবে বোর্ড গড়ারও। এবারের পঞ্চায়েত ভোটে মালদহ জেলা পরিষদের ৩৭ আসনে এই হল ভোটচিত্র। যা কি না একযোগে কাঁপন ধরিয়েছে কংগ্রেস-সিপিএমের নেতাদের অনেকের মধ্যেও। কংগ্রেস নেতাদের মধ্যেই আলোচনা শুরু হয়েছে, তা হলে গনি ম্যাজিক কী আর তেমন কাজে দেবে না। বামেরা ভাবছে, নিচুতলার সংগঠন কি উঠেই যাবে! শুধু তাই নয়, বিজেপির আগ্রাসী ফল আগামী বছর হতে চলা লোকসভা ভোটে কী হবে তা নিয়েও ভাবাচ্ছে বাম-কংগ্রেসকে।

Advertisement

মালদহ মানে যেমন আম, তেমনই মালদহের রাজনীতিতে একটাই মিথ ‘গনিখান’। এই ছিল কংগ্রেসের রাজনৈতিক পরম্পরা। এবারের পঞ্চায়েত ভোটে গনি খানের সেই গড়ে কংগ্রেস বেলাইন হয়ে পড়ল। তৃণমূলকে রুখতে এবার তাঁরা সিপিএমের সঙ্গে আংশিক সমঝোতাও করেছিল। কিন্তু গত বিধানসভায় এই সমঝোতা কাজ করলেও এবার কিন্তু সুপার-ফ্লপ’ হয়েছে। জেলা কংগ্রেসের এক নেতা মনে করেন, এখন থেকেই এটা নিয়ে ভাবা উচিত, না হলে লোকসভায় আসন হারাতে হবে।

তবে সাংসদ তথা জেলা কংগ্রেসের সভানেত্রী মৌসম নূরের যুক্তি কিন্তু অন্যরকম। তিনি বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত ভোট আর লোকসভা ভোটকে এক করে মেলালে চলবে না। পঞ্চায়েত একেবারেই স্থানীয় স্তরের ভোট। তবুও ফলকে খাটো করে দেখতে চাই না। অনেক কিছুই ভাবছি।’’ তৃণমূলের জেলা সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ‘‘কংগ্রেস আসলে বুঝতেই পারছে না যে তাঁদের পা থেকে মাটি সরে গিয়েছে এবং উন্নয়নের স্বার্থে মালদহের সমস্ত মানুষ এখন তৃণমূল নেত্রীর পাশে।’’

Advertisement

এরই মধ্যে মালদহে ত্রিশঙ্কু থাকা পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতিগুলিতে কারা বোর্ড গঠন করবে, তা নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বোর্ড গঠনে কোথাও নির্ণায়ক ভূমিকায় রয়েছে বিজেপি বা কোথাও কংগ্রেস বা সিপিএম। আবার কোথাও নির্দলরা নির্ণায়কে রয়েছে। বিরোধীদের আশঙ্কা, এই বোর্ডগুলি দখলে মরিয়া তৃণমূল ঘোড়া কেনাবেচার রাজনীতি শুরু করবে। যদিও তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, উন্নয়নে শামিল হতে অনেকেই যোগাযোগ শুরু করে দিয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement