গ্রেফতার: কংগ্রেস প্রার্থী মাসিদুর রহমান। নিজস্ব চিত্র
শাসকদলের চাপে মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে রাজি হননি গ্রাম পঞ্চায়েতের কংগ্রেস প্রার্থী মাসিদুর রহমান। তাই তাঁর বাড়িতে চড়াও হয়ে পেট্রল ঢেলে তৃণমূলের আশ্রিত দুষ্কৃতীরা আগুন দেয় বলে অভিযোগ। ভোরে ওই ঘটনার পর সারা দিন আতঙ্কে পালিয়ে বেড়িয়েছেন গ্রাম পঞ্চায়েতের বিদায়ী ওই সদস্য। বিকেলে পুলিশে অভিযোগ জানিয়ে বাড়িতে এসে পুড়ে যাওয়া ঘরদোরের সামনে বসেছিলেন। আর পুলিশ গিয়ে মাসিদুরকেই গ্রেফতার করে।
মালদহের রতুয়ার খোঁজখামার বালুপুরে মাসিদুর ছাড়াও আরও দুই কংগ্রেস কর্মী ও তৃণমূলের দুই কর্মীকেও পুলিশ গ্রেফতার করেছে। কিন্তু প্রার্থী মাসিদুর কেন গ্রেফতার হলেন তা নিয়ে কংগ্রেস ক্ষুব্ধ। শাসকদলের কর্মীদের আড়াল করতে পুলিশ আমরা ওরার ভূমিকা পালন করছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। পুরো ঘটনা বিস্তারিত ভাবে নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছে কংগ্রেস। পাশাপাশি ওই এলাকায় নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী দেওয়ারও দাবি জানিয়েছেন সাংসদ তথা জেলা কংগ্রেস সভানেত্রী মৌসম নুর।
মৌসম বলেন, ‘‘ঘটনার পর পুলিশ সুপার, এসডিপিওকে ব্যবস্থা নিতে বলেছিলাম। অথচ যাঁর বাড়ি পুড়ল, তিনিই গ্রেফতার হলেন। নৈরাজ্যের রাজ্যে পুলিশকে কি আর দোষ দেব। শাসকদলের নির্দেশ অমান্য করার ক্ষমতা তাদের নেই।’’
পুলিশ অবশ্য পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ অস্বীকার করেছে। পুলিশের দাবি, কংগ্রেস ২৬ জনের নামে ও তৃণমূল ৪০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে। তৃণমূলের তরফে অভিযোগে মাসিদুরের নাম প্রথমেই রয়েছে। তাই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদেরও ধরা হবে।
শাসকদলের হুমকিতে মনোনয়ন প্রত্যাহার না করায় বুধবার ভোররাতে দুই মহিলা প্রার্থী সহ পাঁচ কংগ্রেস প্রার্থীর বাড়ি ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
চাঁদমণি ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের বিদায়ী কংগ্রেস সদস্য মাসিদুর এ বারও প্রার্থী হয়েছেন। তাঁর বাড়িও পুড়ে গিয়েছে। তৃণমূলের আশ্রিত দুষ্কৃতীরা আতঙ্ক ছড়াতে যথেচ্ছে বোমাবাজির পাশাপাশি শূন্যে গুলিও চালায় বলে অভিযোগ। আকস্মিক হানায় মাসিদুর সহ বাকিরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান। শাসকদলের যাদের নেতৃত্বে হামলা সেই বেলাল হোসেন, আবুল হোসেন, খালেদুর রহমানরা এলাকায় ঘুরলেও তাঁদের পুলিশ ধরছে না বলে অভিযোগ তুলেছে কংগ্রেস। তবে তৃণমূলের দাবি, তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ মিথ্যা। তবে বৃহস্পতিবার দিনও গোটা এলাকা থমথমে।