জোরকদমে: লকডাউনের সময় থেকে জয়ন্তী এলাকায় কার্যত দেখা নেই পর্যটকের। সেই থেকে বন্ধ অধিকাংশ দোকানও। সামনেই শুরু পর্যটনের মরসুম। তার আগে দোকান মেরামতে ব্যস্ত এক ব্যবসায়ী। ছবি: নারায়ণ দে
প্রশাসনিক প্রস্তুতি বৈঠকে জেলার আধিকারিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, সোমবারের মধ্যে প্রকল্পের সর্বশেষ তথ্য যেন ওয়েবসাইটে তুলে দেওয়া হয়। বকেয়া কাজও মিটিয়ে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। গত শুক্রবার ওই বৈঠক শেষে জলপাইগুড়ির জেলাশাসকের দফতরের সভাঘর থেকে বেরিয়ে এক আধিকারিক চিন্তার সুরে বলেছিলেন, “আজ এবং সোমবার, হাতে মাত্র দু’টি কাজের দিন। এত তাড়াতাড়ি সব সম্ভব নাকি?” রবিবার দুপুরে খবর এসেছে, মুখ্যমন্ত্রীর উত্তরবঙ্গ সফর এক সপ্তাহ পিছিয়ে গিয়েছে। আগামী মঙ্গলবার উত্তরকন্যায় জলপাইগুড়ির প্রশাসনিক বৈঠক হওয়ার কথা ছিল, তা হচ্ছে না। ফলে কাজ শেষ করতে আরও এক সপ্তাহ পেয়ে গেলেন জেলার আধিকারিকরা।
প্রশাসন সূত্রের খবর, এ বারের প্রশাসনিক পর্যালোচনা বৈঠকে নবান্ন থেকে সামাজিক প্রকল্পের উপরেও অগ্রাধিকার দিয়েছে। তফসিলি শংসাপত্র বিলি করা, কন্যাশ্রী প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করা এবং অ্যাকাউন্টে টাকা পৌঁছনো, কৃষকবন্ধু প্রকল্পে রেজিস্ট্রেশন নিয়ে বিস্তারিত নথি চাওয়া হয়েছে। এখনও পর্যন্ত কতজন সুবিধে পেয়েছেন, কতজনের নাম উঠেছে, বকেয়া কত রয়েছে তার যাবতীয় হিসেব চাওয়া হয়েছে। জেলায় পাট্টা বিলি নিয়েও পৃথক রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিকের কথায়, “হাতে আরও পাঁচটি কাজের দিন পাওয়া গেল। এই ক’দিনে অনেকটাই কাজ এগোবে। মুখ্যমন্ত্রী আসছেন বলে এমনিতেই এই সপ্তাহ জুড়েই জরুরিভিত্তিতে কাজ হবে।” কৃষকবন্ধু সহ বেশ কয়েকটি সামাজিক প্রকল্পে জেলার বকেয়া তালিকা লম্বা বলে প্রশাসন সূত্রে খবর।
এ দিকে তৃণমূলের জেলা নেতাদের একাংশের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী উত্তরকন্যায় তাঁদেরও বৈঠকে ডাকতে পারেন। গত শুক্রবার কলকাতায় একটি সমন্বয় বৈঠক শেষ হয়েছে। ফলে দলনেত্রীর সামনে গিয়ে সমন্বয়ের ছবি ফুটিয়ে তুলতে তাঁরাও খানিক সময় হাতে পেয়ে গেলেন বলে তৃণমূল নেতৃত্বের। জেলার এক তৃণমূল নেতার কথায়, “জলপাইগুড়িতে দলের যা দ্বন্দ্ব, এই বাড়তি সাতদিনে দলকে আরও একটু বেঁধে নেওয়ার চেষ্টা করা যাবে।” যদিও জেলা তৃণমূল সভাপতি কৃষ্ণকুমার কল্যাণীর দাবি, দলে কোনও দ্বন্দ্ব নেই।