দাবি: পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর সভার মুখেই ব্যানার পড়ল দাড়িভিটে। —নিজস্ব চিত্র
আজ, শনিবার পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর দাড়িভিটে সভা। ঠিক তার আগেই স্কুল খোলা দাবি নিয়ে এ বার নিহতদের পরিবারের তরফে ব্যানার পড়ল দাড়িভিটে। যা থেকে বোঝা যাচ্ছে, দাড়িভিট কার দখলে থাকবে, তা নিয়ে শুরু হয়েছে তুমুল লড়াই। নিহতদের পরিবারের সদস্যরা বিজেপির নেতাদের সঙ্গে দিল্লি গিয়েছিলেন।
বৃহস্পতিবার রাতে ওই এলাকায় ব্যানারগুলো লাগান নিহতদের পরিবারের লোকেরা। শুক্রবার সকালে এলাকার একাধিক জায়গায় এমন পোস্টার নজরে পড়েছে। ব্যানারে তাদের দাবি, ‘ঘটনার সিবিআই তদন্ত করুন, স্কুল খুলুন।’ তা ছাড়াও ‘রাজেশ এবং তাপসের উপর পুলিশের গুলি চালানোর সিবিআই তদন্ত এবং সুবিচার চাই’।
দাড়িভিট কাণ্ডে পুলিশ নিরীহ গ্রামবাসীদের গ্রেফতার করেছে দাবি জানিয়ে তাঁদের মুক্তিরও দাবিও তুলেছেন তাঁরা। তবে স্কুল খোলাতে প্রশাসনের তরফে এখনও পর্যন্ত কোনও সদর্থক উদ্যোগ নেই বলেই অভিযোগ।
পুজোর ছুটির পর ১০ নভেম্বর সমস্ত স্কুল খোলার কথা। দাড়িভিট স্কুল খোলা হবে কি না, তা নিয়েই উদ্বিগ্ন অভিভাবকেরা। শুক্রবার জেলাশাসকের তরফে মহকুমা প্রশাসনকে উদ্যোগ গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
দাড়িভিট স্কুলে যেখানে গন্ডগোল হয়েছিল ওই এলাকায় স্কুলের গেটের কাছেই লাগানো হয়েছে ব্যানার। ব্যানার পড়েছে দাড়িভিট বাজারেও। তাপসের বাবা বাদল বর্মন বলেন, ‘‘স্কুল খুলুক তা আমরাও চাই। তবে ঘটনার সিবিআই তদন্ত করতে হবে। ওই ঘটনায় এলাকায় অনেক নিরীহ মানুষকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তাদের মুক্তির দাবি জানাচ্ছি।’’
এলাকার বাসিন্দাদের অনেকেরই বক্তব্য, দাড়িভিট নিয়ে ক্রমশ রাজনীতির জলই ঘোলা করা হচ্ছে। স্কুলের ১৯০০ ছাত্রছাত্রীর ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা কম।
স্কু়ল না খোলায় পড়ুয়া, অভিভাবকদের অনেকেই উদ্বিগ্ন। প্রশাসনের তরফে সদর্থক ভূমিকা নেই বলেই তাঁদের অভিযোগ।