বিপ্লব মিত্র। ফাইল চিত্র।
দলের স্থায়ী জেলা কার্যালয়ের উদ্বোধনে ‘ব্রাত্য’ থাকলেন দক্ষিণ দিনাজপুরের বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা বিপ্লব মিত্র।
রাজ্যে রাজনৈতিক পালাবদলের পরে প্রায় ৯ বছর কেটে গেলেও জেলা সদর বালুরঘাটে ছিল না তৃণমূলের কোনও স্থায়ী কার্যালয়। মঙ্গলবার বালুরঘাট শহরের কাঁঠালপাড়া এলাকায় দলের নিজস্ব জেলা কার্যালয়ের উদ্বোধন করা হয়। সে জন্য কয়েক দিন ধরে দলের কো-অর্ডিনেটর সুভাষ চাকির নামে মাইকে প্রচার করে ওই কার্যালয়ের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সকলকে আহ্বান জানানো হয়।
কিন্তু দলের প্রাক্তন জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্রকে ওই উদ্বোধনী অনু্ষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি বলে অভিযোগ। দলের জেলা সভাপতির উপরে সব দায়িত্ব রয়েছে বলে দাবি করে বিষয়টি এড়িয়ে যান সুভাষ। আর তৃণমূল জেলা সভাপতি গৌতম দাস এ দিন দুপুরে বলেন, ‘‘বিপ্লবদা দলের বর্ষীয়ান নেতা। ওঁকে কেন বলা হবে না। নিশ্চয় কার্যালয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হবে।’’
কিন্তু কবে? তার সদুত্তর মেলেনি।
দলের জেলা নেতৃত্বের কাছ থেকে বিপ্লবও কোনও আমন্ত্রণ পাননি বলে জানা গিয়েছে। তাঁর ঘনিষ্ঠ এক নেতার কথায়, ‘‘জেলায় এখন চার জন মিলে তৃণমূল দলটা চালাচ্ছেন। ওই চার জন মিলে আগামী বিধানসভা ভোটে তৃণমূলকে জেলায় জেতাতে পারলে খুবই আনন্দের কথা।’’ এ বিষয়ে বিপ্লব দাবি করেন, বালুরঘাটে নতুন স্থায়ী জেলা কার্যালয়ের উদ্বোধনী অনু্ষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্র দূর, তাঁকে মৌখিক ভাবেও কেউ সে কথা জানাননি।
গত লোকসভা ভোটে অর্পিতা ঘোষকে দলীয় প্রার্থী করা নিয়ে ‘অন্তর্কলহে’ তৃণমূল ছেড়ে বিপ্লব বিজেপিতে যোগ দেন। দেড় মাস আগে ফের তিনি তৃণমূলে ফিরে আসেন। তার কয়েক দিন আগে গঙ্গারামপুরের বিধায়ক গৌতম দাসকে জেলা তৃণমূলের সভাপতি এবং বালুরঘাটের শঙ্কর চক্রবর্তীকে চেয়ারম্যান, যুগ্ম কোঅর্ডিনেটর হিসেবে সুভাষ চাকি ও ললিতা টিগ্গাকে মনোনীত করা হয়।
বিপ্লব ও তাঁর ভাই তথা প্রাক্তন পুরপ্রধান প্রশান্ত মিত্রকে কোণঠাসা করে রেখে জেলায় দলের কাজকর্ম চলছে বলে অভিযোগ। এ দিন দলের স্থায়ী জেলা কার্যালয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেও বিপ্লবকে ‘ব্রাত্য’ করে রাখার বিষয়টি নিয়ে তৃণমূলের অন্দরে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। দলের অন্দরমহলের খবর, অস্বস্তি এড়াতে এ দিন বালুরঘাটে ওই কার্যালয়ের উদ্বোধনে অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত ছিলেন জেলা তৃণমূল সভাপতি গৌতম।