দুই দিঘিকে ধরে পর্যটন বিকাশের আশ্বাস বাচ্চুর

নাট্য উৎকর্ষ কেন্দ্র দ্রুত সম্পূর্ণ করার কথা আগেই জানিয়েছিলেন। এ বার জেলায় পর্যটন বিকাশের উপর জোর দিলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রী বাচ্চু হাঁসদা। দক্ষিণ দিনাজপুরের ঐতিহাসিক দু’টি দিঘিকে ঘিরে কটেজ তৈরি এবং সৌন্দর্যায়নের লক্ষ্যে জেলা প্রশাসনের তরফে পরিকল্পনা তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে মঙ্গলবার তপনের বিধায়ক তথা মন্ত্রী বাচ্চুবাবু জানিয়েছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বালুরঘাট শেষ আপডেট: ১৫ জুন ২০১৬ ০৯:৩৯
Share:

আর্ট গ্যালারির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন বাচ্চুবাবু। — নিজস্ব চিত্র

নাট্য উৎকর্ষ কেন্দ্র দ্রুত সম্পূর্ণ করার কথা আগেই জানিয়েছিলেন। এ বার জেলায় পর্যটন বিকাশের উপর জোর দিলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রী বাচ্চু হাঁসদা। দক্ষিণ দিনাজপুরের ঐতিহাসিক দু’টি দিঘিকে ঘিরে কটেজ তৈরি এবং সৌন্দর্যায়নের লক্ষ্যে জেলা প্রশাসনের তরফে পরিকল্পনা তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে মঙ্গলবার তপনের বিধায়ক তথা মন্ত্রী বাচ্চুবাবু জানিয়েছেন। জেলার একমাত্র মন্ত্রী বাচ্চুবাবু মন্ত্রী পদের দায়িত্ব পাওয়ার পর এ দিন প্রথম বালুরঘাটে পা দিতেই সংবর্ধনায় ভাসেন।

Advertisement

এ দিন সকালে বাচ্চুবাবু জেলা প্রেসক্লাব ভবনে আনুষ্ঠানিকভাবে আর্ট গ্যালারি তৈরির ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করে বলেন, ‘‘নাটকের শহরে আর্ট গ্যালারির ভীষণ প্রয়োজন ছিল। সেই অভাব পূরণ হতে চলেছে।’’ তিনি জানান, বালুরঘাট শহরে উত্তরবঙ্গের নাট্য উৎকর্ষ কেন্দ্রের পাকা বাড়ি ও মঞ্চ তৈরির কাজ প্রায় শেষের দিকে। তপন ব্লকের ঐতিহাসিক তপন দিঘি এবং কুশমন্ডি ব্লকে মহিপাল দিঘিকে ঘিরে বিভাগীয় দফতর থেকে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলেও দাবি করেন বাচ্চুবাবু।

প্রায় ১০০ একর দীর্ঘ আয়তনের ঐতিহাসিক ওই দুটি দিঘিতে শীতকালে বাসা বাঁধতে আসে পরিযায়ীরা। সেই টানে ভিড় জমান বহু পর্যটকও। সেগুলিকে আরও আকর্ষণীয় করতে ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর থেকে ১ কোটি ৩৫ লক্ষ ১১ হাজার ৮৮ টাকা জেলা উন্নয়ন ও পরিকল্পনা দফতরকে বরাদ্দ করা হয়েছে বলে জানান বাচ্চু। দিঘির পাড়ে কটেজ, পার্ক, বোটিং-সহ সৌন্দর্যায়নের একগুচ্ছ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। বাচ্চুবাবু বলেন, ‘‘এই কাজগুলিতে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথবাবুও সবরকম সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।’’ জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, গত ২০১৪ সালে তপন দিঘিতে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার উদ্যোগে রাজ্যের পর্যটন দফতর থেকে দুদফায় প্রায় ৬১ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে। তপনের বিডিও খসড়া পরিকল্পনার কাজ শুরুও করেছেন বলে প্রশাসন সূত্রের খবর।

Advertisement

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে কুশমণ্ডি ব্লকের প্রাচীন আমলের মহিপাল দিঘির পাড়ে পর্যটকদের রাত্রিবাসের জন্য পাঁচটি কটেজ তৈরির কাজও প্রায় শেষ। জেলা পরিকল্পনা আধিকারিক অভীককুমার দাস বলেন, ‘‘পর্যটন বিভাগ থেকে ইতিমধ্যে ৯০ লক্ষ ১৬ হাজার ৯২৪ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গিয়েছে। কংক্রিটের তৈরি প্রত্যেকটি কটেজ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত হবে। ইতিমধ্যে সদর পাকা রাস্তা থেকে মহিপাল দিঘিতে পৌঁছতে প্রায় এক কিলোমিটার সিমেন্ট ঢালাই রাস্তার কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে।’’ তবে সীমানা পাঁচিলের সঙ্গে দিঘির পাড়ে কটেজে কাটানো পর্যটকদের সুরক্ষার ব্যবস্থা নিয়ে এখনও পর্যন্ত পদক্ষেপ করা হয়নি। সে বিষয়েও দ্রুত ব্যবস্থা হবে বলে প্রশাসনের আশ্বাস।

তপন দিঘিকে ঘিরেও আপাতত অনুরূপ দুটি কটেজ তৈরিতে উদ্যোগী হয়েছে প্রশাসন। সেই সঙ্গে দিঘিতে কংক্রিটের স্নানের ঘাট, বোটিং, তিন জায়গায় বসার ব্যবস্থা, বাগান-সহ সৌন্দর্যায়নে যাবতীয় কাজের পরিকল্পনা করে পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় করে তোলা হবে বলে দফতরের বিভাগীয় প্রতিমন্ত্রী বাচ্চুবাবু জানিয়েছেন। এ দিন বালুরঘাটে জেলা প্রেসক্লাবে আর্ট গ্যালারি তৈরির সূচনা অনুষ্ঠানে স্থানীয় বাম বিধায়ক বিশ্বনাথ চৌধুরী, জেলাশাসক তাপস চৌধুরী-সহ প্রশাসনের আধিকারিকেরা উপস্থিত ছিলেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement