—ফাইল চিত্র
ভোট এলেই উত্তরবঙ্গের ভূমিপুত্রদের প্রতি আগ্রহ বাড়ে বিজেপির, অভিযোগ করলেন কেপিপি নেতা অতুল রায়। বিজেপিকে ধোঁকাবাজের দল বলে আক্রমণ করলেন তিনি। বিজেপি বিরুদ্ধে সকলকে সর্তক হওয়ার বার্তাও দিলেন একই সঙ্গে। যদিও বিজেপি নেতাদের দাবি, অতুল রায় নিজেই রাজবংশীদের সঙ্গে ধোঁকাবাজি করেছেন। এর জবাব মানুষ দেবে। ওই নেতাদের আরও দাবি, সমস্ত জনজাতির পাশে রয়েছে বিজেপি।
বুধবার জলপাইগুড়ি জেলাশাসক দফতরে বিক্ষোভ অভিযান ছিল ভূমিপুত্র সুরক্ষা মঞ্চের নেতা, কর্মীদের। কামতাপুরি ভাষার স্বীকৃতি, পঠনপাঠন-সহ বিভিন্ন দাবি নিয়ে আন্দোলন চলে। এ দিনের মঞ্চে কেপিপি (কামতাপুর প্রোগ্রেসিভ পার্টি), উত্তরবঙ্গ নস্যশেখ যুব পরিষদ এবং ল্যান্ডলুজার কমিটি প্রতিনিধিরা ছিলেন। শহর জুড়ে মিছিল করে জেলাশাসক দফতরের সামনে হাজির হন তাঁরা।
আন্দোলনকারী নেতাদের দাবি, ভারত স্বাধীন হয়েছে ৭৩ বছর হয়ে গেল, কিন্তু কামতাপুরি ভাষা স্বীকৃতি পায়নি। এই ভাষায় স্কুলে পঠনপাঠন ও ভাষাকে রাষ্ট্রীয়করণের দাবি তোলা হয় এ দিনের বিক্ষোভ মিছিল থেকে। একই সঙ্গে দাবি করা হয়, নাগরিকত্ব আইন বা সিএএ চালু করার আগে উত্তরবঙ্গের ভূমিপুত্রদের সুরক্ষাকবচ দিতে হবে। তাঁরা দাবি করেন, তা না হলে এই আইন চালু করতে দেওয়া হবে না। এই আইন নিয়ে এর মধ্যে বিজেপি এবং বিরোধী দলগুলির মধ্যে টানাপড়েন শুরু হয়েছে। সিএএ পাশের আগে অসমে এনআরসি হয়। অভিযোগ, তাতে বহু লক্ষ হিন্দু, রাজবংশী, গোর্খার নাম বাদ পড়ে। এই নিয়ে একটা সময়ে লাগাতার আন্দোলন চালায় তৃণমূল। এ বারে উত্তরবঙ্গ সফরে এসে মুখ্যমন্ত্রী ইঙ্গিত দেন, তিনি ফের বিষয়টিকে সামনে নিয়ে আসবেন।
অন্য দিকে, উত্তরবঙ্গ বিভাগীয় শহর হলেও স্বাস্থ্য পরিষেবা তলানিতে থাকায় জলপাইগুড়িতে এমসের আদলে হাসপাতাল তৈরি, টেকনিক্যাল ও ভোকেশনাল ইউনিভার্সিটি গড়ার দাবি তোলা হয়। মঞ্চের সভাপতি অতুল রায় বলেন, ‘‘লোকসভা ভোটে বিজেপি জিতেছে। কেন্দ্রে এখন তাদের সরকার। তাই আমরা কেন্দ্রীয় সরারের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগটিত করব।’’
বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি বাপী গোস্বামী বলেন, ‘‘অতুল রায় নিজেই ধোঁকাবাজি করেছেন রাজবংশীদের সঙ্গে। কখনও সিপিএম, কখনও তৃণমূলে গিয়েছেন তিনি। উনি আগে ঠিক করুক কোন জায়গায় রয়েছেন। আর আমরা সমস্ত জনগোষ্ঠীর পাশে রয়েছি।’’