—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
কাজ দেওয়ার নামে এক নাবালিকাকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। গত ৩০ মে স্থানীয় তৃণমূল নেতা রাকেশ শীলের বিরুদ্ধে বালুরঘাট থানায় সেই নিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতার পরিবার। পকসো ধারায় রুজু হয় মামলা। এ বার সেই মামলায় তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসির প্রাক্তন জেলা সভাপতি রাকেশের বিরুদ্ধে হুলিয়া জারি করল আদালত। শুক্রবার দুপুরে আদালতের সেই নোটিস বালুরঘাটের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের নেপালিপাড়া এলাকায় রাকেশের বাড়িতে সাঁটিয়ে দেয় বালুরঘাট থানার পুলিশ। বালুরঘাট বাসস্ট্যান্ড চত্বরেও সেই নোটিস লাগায় পুলিশ।
কয়েক মাস আগে বালুরঘাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে প্রভাব খাটানোর অভিযোগ ওঠে রাকেশের বিরুদ্ধে। বালুরঘাট শহর লাগোয়া বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ নির্মাণেও তিনি জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ। এর পরেই তাঁকে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের জেলা সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। দলের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকেও অপসারণ করা হয়েছিল। সম্প্রতি পকসো ধারায় মামলা দায়ের করার পর থেকে নিখোঁজ রাকেশ। শেষ পর্যন্ত আদালতের তরফে হুলিয়া জারি করা হয়।
এই প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূল সহ-সভাপতি সুভাষ চাকি বলেন, ‘‘আইন আইনের পথে চলবে।’’ বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক বাপি সরকার পাল্টা বলেন, ‘‘আরজি কর-কাণ্ড থেকে নজর ঘোরাতেই পুলিশ এই ধরনের নাটক করছে। রাকেশ শীল কোথায় রয়েছেন, তা পুলিশ জানে। তাঁকে যে কোনও দিন ইচ্ছা করলে গ্রেফতার করতে পারে। এটা সাধারণ মানুষকে বোকা বানানোর চেষ্টা।’’