মহানন্দার চরে খাটাল, অবৈধ নির্মাণ উচ্ছেদ করতে গিয়ে পুরসভার কর্মীদের উপরে হামলায় অভিযুক্তদের পুলিশ গ্রেফতার না করায় ক্ষুব্ধ শিলিগুড়ির মেয়র অশোক ভট্টাচার্য।
পুলিশের দাবি, অভিযুক্তদের ৬ জনকেই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু, মঙ্গলবার তাঁদের অনেকে শাসকদলের হয়ে দুই নম্বর বরো অফিসে আন্দোলনও করছেন বলে অভিযোগ। মেয়র বলেন, ‘‘শাসক দলের লোকজনরাই ঘটনায় জড়িত বলে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করছে না। অথচ সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা হওয়া উচিত। গ্রিন ট্রাইব্যুনাল, সরকার, দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের থেকে জানানোর পরেই অভিযানে নামা হয়েছিল। বিষয়টি জানিয়ে গ্রিন ট্রাইব্যুনালে রিপোর্টও পাঠানো হবে।’’ সেই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীকেও তিনি বিষয়টি জানিয়ে চিঠি লিখবেন।
আজ, বুধবার শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারের দফতরেও তাঁরা যাবেন অভিযুক্তদের কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে না সেই প্রশ্ন তুলে। মেয়রের নেতৃত্বে তাঁর পারিযদ, কাউন্সিলররা পুর কমিশনারের দফতরে যাবেন বলে জানান। পুলিশের দাবি, তারা ঘটনার তদন্ত করছেন। একজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে। মেয়রের দাবি, যাদের নামে অভিযোগ করা হয়েছে তার মধ্যে ওই ব্যক্তির নাম নেই। পুলিশ শাসক দলের সঙ্গে যুক্ত অভিযুক্তদের ধরছে না। পক্ষপাতিত্ব করছে।
বিরোধী দলনেতা রঞ্জন সরকারের অভিযোগ, মেয়র ওসব বললেই হল না। তিনি বলেন, ‘‘আমরা ওই ঘটনার সর্বদল তদন্ত কমিটি চাইছি। সেখানে দেকা হোক কারা এদিন নদীর চরে লোক বসিয়েছেন। তার বিনিময়ে টাকা তুলেছেন। তাদের শাস্তি হোক।’’
মেয়র এ দিন জানান, মহানন্দা সেতুর উভয় দিকে তার জালি দিয়ে ঘেরা দেওয়ার পরিকল্পনা তারা নিয়েছেন যাতে সেতু থেকে কেউ নদীতে আবর্ঝনা না ফেলতে পারেন। নদী দূষণ মুক্ত করতে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদেরও সচেতনতা প্রচারের কাজে নামানো হবে। নদী খাতে যারা প্রাতঃকৃত্য বন্ধ করতেও কড়া ব্যবস্থা নেওয়া, সচেতনতা প্রচার হবে। নদীর মাঝে যে সব অস্থায়ী সেতু তৈরি হয়েছে সেগুলির বিরুদ্ধে গ্রিন ট্রাইব্যুনাল। তাই সেগুলি সরানোর ব্যবস্থা করা হবে।