ছবি: সংগৃহীত
বৃষ্টিতে আত্রেয়ীর জল বাড়তেই নদীতীর ভাঙতে শুরু করেছে। শনিবার বালুরঘাটের বোয়ালদার অঞ্চলের পার্বতীপুর, ফুলঘরা এলাকায় আত্রেয়ীর ভাঙনে চাষের জমি ভেঙে নদীগর্ভে তলিয়ে যেতে শুরু করায় আতঙ্কিত বাসিন্দারা।
স্থানীয় কৃষক বাদল সরকারের দাবি, গত দুবছরের ভাঙনে সব মিলিয়ে তাঁর প্রায় ১০ বিঘা চাষ জমি নদীগর্ভে তলিয়ে গিয়েছে। স্হানীয় চাষি রবীন্দ্রনাথ বর্মণ জানান, ভাঙনের জেরে তাঁর দুবিঘা জমির মধ্যে এখন মাত্র ১৫ শতক জমি অবশিষ্ট রয়েছে। বাঁধ মেরামতি না হলে ওই শেষ সম্বলটুকুও নদীগর্ভে তলিয়ে যাবে। এলাকার আর এক ক্ষতিগ্রস্ত চাষি বাবলু পাহান জানান, গত বছর বন্যার পরে আত্রেয়ীর ভাঙনে বিস্তীর্ণ এলাকার চাষজমি তলিয়ে গিয়েছে। গত বুধবার থেকে নদীতে জল বেড়ে যাওয়ায় খেতের ফসল ভেসে গিয়েছে। শুরু হয়েছে ভাঙন। সেচ দফতর জানিয়েছে, আত্রেয়ী বিপদসীমার অনেক নীচে রয়েছে। ওই এলাকার পশ্চিম অংশে নদীবাঁধের ভাঙন শুরু হয়েছে। সেচ দফতরের জেলা নির্বাহী বাস্তুকার স্বপন বিশ্বাস জানান, পার্বতীপুর এলাকায় নদী বাঁধের ভাঙন ঠেকাতে কিছু জায়গা বোল্ডার দিয়ে বাঁধানোর কাজ শুরু হয়েছিল। লকডাউনের জেরে সম্পূর্ণ কাজ হয়নি।
পাশাপাশি আত্রেয়ীতে রাবার বাঁধ থেকে জল ছাড়ার কারণে সমস্যা আরও বেড়েছে। জল ছাড়ার আগে বাংলাদেশের তরফে জেলা প্রশাসনকে আগাম বার্তা দিয়ে জানানোর দাবি উঠেছে। নদীর প্রথম দিকে বাংলাদেশের দিকে মোহনপুর এলাকায় আত্রেয়ী বরাবর রাবার-বাঁধ দিয়ে জল নিয়ন্ত্রণের অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ, বর্ষায় ওপারে জলস্ফীতি দেখা দিলে জল ছেড়ে দেওয়ায় বালুরঘাটের দিকে নদী উপত্যকা অঞ্চলের চাষের জমি ভেসে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। নদী পারাপারের সাঁকো ও বাঁধ ভেঙে যাচ্ছে। ভাঙনেও তলিয়ে যাচ্ছে বহু চাষের জমি।
জুনের তৃতীয় সপ্তাহের পর থেকে তিন দিন জেলায় ভারী বৃষ্টি হয়েছে। তার সঙ্গে বাংলাদেশের দিক থেকে ওই বাঁধের বাড়তি জল ছেড়ে দেওয়ায় শুক্রবার ভোর থেকে শীর্ণ আত্রেয়ীর জল ফুলে ওঠে। আত্রেয়ীতে জল ছাড়ার বিষয়টি জানতে বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগ করতে জেলা প্রশাসনকে উদ্যোগী হতে হবে বলে বাসিন্দাদের দাবি।