আসাবুল হক
আমাদের স্কুলে যা ঘটে গেল তা ভাবতেই পারছি না। আমি অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছি। দুই জন মারা গিয়েছে শুনলাম। তার মধ্যে তাপস বর্মণ বলে যে মারা গিয়েছে ওদের দোকানে তো আমি খেতে যাই। কী যে হয়ে গেল ভাবতেই পারছি না। পড়াশোনার পরিবেশটাই নষ্ট হয়ে গেল। চেনা পরিচিত অনেকে ফোন করছেন। কী বলব? নিজের স্কুলের এই পরিস্থিতির কথা বলতেও সংকোচ বোধ হচ্ছে।
আমার বাড়ি মুর্শিদাবাদ জেলায়। ২০১১ সাল থেকে দাড়িভিটা স্কুলে শিক্ষকতা করছি। ইসলামপুরে সেই সুবাদে ঘরভাড়া নিয়ে থাকি। স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে আমাদের খুবই ভাল সম্পর্ক রয়েছে। তারা আমাদের যথেষ্ট সম্মান করে। গত ১৮ সেপ্টেম্বর সমস্যা নিয়ে পড়ুয়ারা আমার কাছে এসেছিল। তাদের নিয়ে আমরা আলোচনা করে একটা মীমাংসার জায়গায় এসেছিলাম। তার পর কোথা থেকে কী হয়ে গেল, তা কিছুই জানতে পারলাম না, বুঝতে পারলাম না। বৃহস্পতিবার তা নিয়ে আগুন হয়ে উঠল স্কুলের পরিবেশ। ওই দিন পড়ুয়াদের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছিল। তা নিয়ে হইচইও হচ্ছিল। আমি সকালে কিছু না খেয়েই স্কুলে এসেছিলাম। খিদে পাচ্ছে জানানোয় ছাত্রীরা দোকান থেকে খাবার এনে দিল। পরে আমার শরীর অসুস্থ বোধ করলে ছাত্ররা চেয়ার এগিয়ে দেন। তখন সমস্যা নিয়ে স্কুলের মধ্যে প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে পড়ুয়াদের কথা বার্তা হচ্ছিল। পড়ুয়ারারা দাবি জানাচ্ছিল। বাইরে গেট নাকি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। শরীর খুবই অসুস্থ হয়ে পড়লে আমি অচেতন হয়ে পড়ি়। যখন জ্ঞান ফেরে দেখি হাসপাতালে রয়েছি।
(দাড়িভিট স্কুলের সহকারি শিক্ষক, রাষ্ট্রবিজ্ঞানের, স্কুল পরিচালন কমিটির সদস্যও)
(ঘটনার দিন তিনি স্কুলে অসুস্থ পড়েছিলেন)