অশোক ভট্টাচার্য
জয়প্রকাশ চৌহান ওরফে হিম্মত সিংহ জামিন পাওয়ার পরেই শিল্পে মাফিয়াগিরি নিয়ে ফের প্রশ্ন তুললেন শিলিগুড়ির বিধায়ক অশোক ভট্টাচার্য। তাঁর দাবি, শাসক দলের ছত্রছায়াতেই বিভিন্ন শিল্পতালুকে তোলাবাজি এবং মাফিয়ারাজ চলছে বলে উত্তরবঙ্গে শিল্প আসছে না। ব্যবসায়ীরা ভয় পাচ্ছেন লগ্নি করতে। যদিও মন্ত্রী গৌতম দেবের দাবি, বিধানসভায় কিছু বললে তার জবাব দেবেন তিনি।
রবিবার অশোকবাবু বলেন, ‘‘সাত বছরে ক’টি নতুন শিল্প হয়েছে উত্তরবঙ্গে? শিল্পমন্ত্রী হাজার হাজার কোটি টাকা লগ্নির গল্প বলছেন, আর তৃণমূলের মাফিয়ারা সব জায়গায় ব্যবসায়ীদের উপর জোর জুলুম করছেন।’’ অশোকবাবুর অভিযোগ, শিলিগুড়ি তো বটেই উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি এবং কোচবিহারের বিভিন্ন শিল্প তালুকে দিনের পর দিন ধরে কোনও বড় লগ্নি আসছে না। তাঁর দাবি, কোচবিহারের চকচকা জুট পার্ক, জলপাইগুড়ির ফাটাপুকুর শিল্পতালুক ধুঁকছে, শিলিগুড়ির মাটিগাড়ায় সফটওয়ার পার্ক তৈরি হয়নি, ফুডপার্কে তোলাবাজি চলছে বিধাননগরে আনারস পার্কে কোনও ব্যবসায়ী ব্যবসা শুরু করেনি। তিনি জানান বিধানসভার শিল্প বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি এই শিল্পতালুকগুলির কয়েকটি পরিদর্শনও করবেন। কেবল শিল্পে লগ্নিই নয়, অশোকবাবু কিছু পরিকাঠামোগত উন্নয়ন নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। তাঁর দাবি, ‘‘কোচবিহার বিমানবন্দর থেকে শুরু করে জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চ, রায়গঞ্জ এইমস, বাগডোগরা বিমানবন্দরের সম্প্রসারণ সব কিছুই হবে হবে বলে শুনে আসছি অনেক দিন থেকেই, কিন্তু হচ্ছে না।’’
বস্তুত, তৃণমূল নেতা হিম্মত সিংকেও সরকারি জমি দখল থেকে শুরু করে একাধিক জমি মামলায় জড়ানো হয়েছিল। তিনি আদালতে হাজিরা দেওয়ার সময় থেকেই একাধিকবার দার্জিলিং জেলার তৃণমূল সভাপতি গৌতম দেব এবং তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপরই ভরসা রাখার কথা বলে এসেছেন। এদিন সেই প্রসঙ্গও টেনেন আনেন অশোকবাবু।
এ প্রসঙ্গে পুরসভার বিরোধী দলনেতা রঞ্জন সরকার বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সারা দেশ নেত্রী বলে মানেন। হিম্মত সিং কী বলল, তা দলের বক্তব্য হতে পারে না।’’
রঞ্জনবাবুর দাবি, অশোকবাবুর আমলেই সবচেয়ে বেশি দাদাগিরি, রাজনৈতিক খুন করেছে সিপিএম। উত্তরবঙ্গে পর্যটন শিল্পের বিকাশ গত সাত বছরে অভূতপূর্ব হারে হয়েছে বলে দাবি তাঁর।