পুরভোটের প্রচারে আসা তৃণমূল ও বিজেপি-র ওজনদার নেতাদের কটাক্ষ করলেন অশোক। গ্রাফিক— সনৎ সিংহ
শিলিগুড়িতে এ বার বামেরাই পুরবোর্ড গঠন করবে। শেষ লগ্নের প্রচারে বেরিয়ে এমন দাবি করলেন শিলিগুড়ির প্রাক্তন মেয়র অশোক ভট্টাচার্য। একই সঙ্গে তিনি পুরভোটের প্রচারে আসা তৃণমূল ও বিজেপি-র ওজনদার নেতাদেরও কটাক্ষ করেন।
শিলিগুড়ির ৬ নম্বর ওয়ার্ডে দাঁড়িয়েছেন অশোক। বুধবার ওই ওয়ার্ড থেকেই ধামসা, মাদল বাজিয়ে বর্ণাঢ্য প্রচারযাত্রা শুরু করেন। তিনি বলেন, ‘‘এখানে পুরভোটের প্রচারে অনেকেই আসছেন বাইরে থেকে। এদের পলিটিক্যাল টুরিস্ট বলা হয়।’’ সম্প্রতি শিলিগুড়িতে তৃণমূলের তরফে প্রচারে গিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। বিজেপি-র প্রচারে দেখা গিয়েছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। একযোগে তাঁদের কটাক্ষ করে অশোক বলেন, ‘‘আপনারা শিলিগুড়িতে ঘুরুন। তাতে কারও আপত্তি নেই। কিন্তু এতে কোনও লাভ হবে না। নির্বাচনে বামফ্রন্টই বোর্ড গড়বে, যত বড় নেতাই আসুক না কেন, ভোটে জেতার জন্য আমাদের এখানকার নেতৃত্বই যথেষ্ট।’’
অশোক জানান, শিলিগুড়িতে কংগ্রেসের সঙ্গে বামেদের সমঝোতা হয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘আমরা একশো শতাংশ নিশ্চিত, বোর্ড আমরাই গঠন করব।’’ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘‘যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর আঘাত হানছে মোদী সরকার। মমতাও মোদীর সুরেই কথা বলছেন। মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত।’’
অশোকের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে পুরসভার প্রাক্তন প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান গৌতম দেব বলেন, ‘‘অশোকবাবুর এই আত্মবিশ্বাস ভাল লাগছে। কিন্তু ওভারকনফিডেন্স ভাল নয়। ওঁদের নেতৃত্ব আগে আসতেন। এখন হয়তো আসতে চান না। রাজনৈতিক দলের নেতারা এসে প্রচার করবেন, এটাই স্বাভাবিক। তাঁদের পলিটিক্যাল টুরিস্ট বলা উচিত নয়। তা হলে বিগত দিনে যখন বিমান বসু, সূর্যকান্ত মিশ্র, মহম্মদ সেলিমরা আসতেন, তা হলে তাঁরাও পলিটিক্যাল টুরিস্ট-ই ছিলেন বলতে হয়।’’
এ নিয়ে বিজেপি-র শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি আনন্দময় বর্মণ বলেন, ‘‘বামেদের এখন বাইরে থেকে আসার মতো কোনও নেতা নেই। গত বিধানসভায় অশোকবাবু হেরেছেন। এ বারও হারবেন। বামেদের সূর্যাস্ত হয়ে গিয়েছে। ওঁদের আসার মতো কেউ নেই।’’