মাটিগাড়ায় ধৃতেরা। — নিজস্ব চিত্র
ভরদুপুরে জাতীয় সড়কে বিলাসবহুল গাড়িতে এক স্কুল ছাত্রীকে অপহরণের চেষ্টার সময় বিহারের তিন যুবককে হাতেনাতে ধরলেন বাসিন্দারা। অভিযুক্তদের মারধর করে অভিযুক্তদের পুলিশের হাতে দিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারাই। তবে আরও একজন পালিয়ে গিয়েছে বলে বাসিন্দাদের দাবি।
মঙ্গলবার মাটিগাড়া থানার ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ জানিয়েছে, গাড়ির ভিতর থেকে দড়ি, লাঠি উদ্ধার হয়েছে। ওই ছাত্রী তার সাত বান্ধবীর সঙ্গে মাটিগাড়া থানা লাগোয়া একটি হাইস্কুল থেকে দশম শ্রেণির টেস্ট পরীক্ষা দিয়ে পালপাড়ায় বাড়ির দিকে যাচ্ছিল। অভিযোগকারী কিশোরীর অভিযোগ, ‘‘বালাসন সেতুর কাছে হিন্দি ও ইংরেজিতে বিভিন্ন ধরনে কথা বলা শুরু করে ওই যুবকেরা। আমরা ওদের এড়িয়ে যাই। পিছু তাড়া করে আমাকে হাত ধরে গাড়িতে তোলার চেষ্টা করে। হাত ছাড়িয়ে পালাই। পরে আবার পিছু নেয়। সেই সময় চিৎকার চেঁচামেচিতে লোকজন ছুটে এসে ওদের ধরে।’’
ঘটনার পর এলাকার পড়ুয়া-সহ মহিলাদের নিরাপত্তার দাবিতে মাটিগাড়া থানায় বিক্ষোভ শুরু হয়। ক্ষুব্ধ বাসিন্দাদের অভিযোগ, দিনে দুপুরে স্কুলের মেয়েদের বিহার থেকে এসে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। শুধু গাড়িতে তোলা নয়, রাস্তায় মেয়েদের তাড়া করা হচ্ছে। তাঁদের ক্ষোভ, ‘‘এর পরে তো বাড়িতে ঢুকে পড়বে দুষ্কৃতীরা!’’ জাতীয় সড়কে তো বটেই বিশেষ করে মেয়েদের স্কুলের সামনে পুলিশের নজর বাড়াতে হবে।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের সকলের বয়স ২০ থেকে ২৪ বছরের মধ্যে। তাদের নাম অভিষেক কুমার, রোহিত কুমার এবং অভয় ত্রিপাঠী। সকলের বাড়িই বিহারের মজফরপুরে। ধৃতদের দাবি, তারা ব্যবসা কাজে পূর্ণিয়া থেকে গাড়ি নিয়ে কলকাতা যআওয়ার পথে ভুল করে শিলিগুড়ির দিকে চলে এসেছিল। ওই মেয়েদের ঠিকানা জানতে চাওয়ায় ভুল বুঝে চিৎকার চেঁচামেচি করায় বিপত্তি ঘটে। শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার চেলিং সিমিক লেপচা বলেন, ‘‘বিহারের পুলিশের থেকে খোঁজ করা হচ্ছে। তারা কেন মাটিগাড়ায় এসছিল, তাও দেখা হচ্ছে। স্থানীয় থানাকে নজরদারি বাড়াতে বলা হয়েছে। ধৃতদের বিরুদ্ধে অপহরণের চেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।