অনেকেই ট্রেনে বসেও একটু গরম খাবার পেতে চান। এ দিকে প্ল্যাটফর্মে যে খাবার পাওয়া যায় তাতে হাত দিলে ছ্যাকা তো লাগেই। অনেকসময়ে বাসি খাবার মুখে পড়লেও অবাক হওয়ার কিছু নেই। তবে এবার থেকে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে অন্তত এমন নাকাল হওয়া এড়ানো সম্ভব। সৌজন্যে রেলের মোবাইল অ্যাপ। টিকিট সংরক্ষণের মতো আগে থেকে খাবার পাওয়ার সুযোগও হয়েছে মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনে। উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক প্রণবজ্যোতি শর্মা বলেন, “বড় স্টেশনগুলোর মতো ছোট এবং মাঝারি স্টেশনেও এই পরিষেবা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। পরে এনজেপির মতো এই সুযোগ উত্তরবঙ্গের অন্যান্য স্টেশনও পাবে।”
বিহারের কিসানগঞ্জকেও মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের আওতায় নিয়ে এসেছে রেল। তবে ওই স্টেশনে খাবার মিলতে আরও কিছু দিন সময় লাগবে। রেলের দাবি, অত্যন্ত সহজে যে কেউ পছন্দের খাবার আগে থেকে বলে রাখতে পারবেন। কীভাবে পাবেন খাবার? ‘ফুড অন ট্র্যাক’ নামের অ্যাপলিকেশনে ঢুকতে হবে। তার জন্য টিকিটের পিএনআর নম্বর দিতে হবে। যাতে যে কেউ অযথা বিরক্ত করতে না পারে সে কারণেই শুধুমাত্র যাত্রীরাই অ্যাপে খাবার পছন্দ করবেন। পিএনআর নম্বর দিলেই ট্রেনের যাত্রাপথে বিভিন্ন স্টেশনের নাম ফুটে উঠবে। তাতেই থাকবে এনজেপির নাম। এনজেপিতে ট্রেন কখন পৌঁছবে এবং ছাড়বে সেই মতো খাবারের একটি প্রস্তাবিত তালিকাও রেলই করে দেবে। সব খাবারের দাম আইআরসিটিসির তালিকা অনুযায়ী নির্ধারিত হবে।
আইআরসিটিসির নিউ জলপাইগুড়ির এরিয়া ম্যানেজার অভিজিত বরদোসা বলেন, “খাবারের মানের দিকেও নজর রাখা হবে। আমাদের লাইসেন্সপ্রাপ্ত সংস্থার থেকেই যাত্রীদের জন্য খাবার নেওয়া হয়।” খাবারের মান নিয়ে অভিযোগ থাকলে অথবা দাম বেশি চাওয়া হলে অভিযোগ জানানোর ব্যবস্থাও রয়েছে।
কীরকম মেনু পেতে পারেন যাত্রীরা? অ্যাপের মাধ্যমে খাবার সরবরাহকারী সংস্থার তরফে শঙ্কর নাগদ বলেন, “দক্ষিণ থেকে উত্তর, দেশের নানা প্রান্তের খাবার মেনুতে ঢোকানো হয়েছে। ইচ্ছে করলে কেউ ইডলি এবং পুরি দুইই পেতে পারেন। ট্রেন কখন পৌঁছবে তা জেনে খাবার রান্না করা হয়, যাতে গরমগরম পরিবেশন করা যায়।”
সম্প্রতি নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে বিক্রি হওয়া খাবারের মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। তারপরে নজরদারি বাড়ানো হয়। অবশ্য এই নজরদারি কতদিন চলবে সেই প্রশ্ন যাত্রীদেরও।