দেওয়াল, সিলিং কেটে চুরি ব্যাঙ্কের কিয়স্কে

একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের গ্রাহক সেবা কেন্দ্রের (কিয়স্ক) দেওয়াল ও সিলিং কেটে চুরি করল দুষ্কৃতীরা। মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর ভালুকাবাজার এলাকায় শুক্রবার রাতের ঘটনা। ঘটনাস্থল থেকে মাত্র ১০ মিটার দূরে ভালুকা পুলিশ ফাঁড়ি। ঘটনার জেরে আতঙ্কিত বাসিন্দারা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদতা

চাঁচল শেষ আপডেট: ০৪ ডিসেম্বর ২০১৬ ০২:০৫
Share:

কাটা সিলিং। — নিজস্ব চিত্র

একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের গ্রাহক সেবা কেন্দ্রের (কিয়স্ক) দেওয়াল ও সিলিং কেটে চুরি করল দুষ্কৃতীরা। মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর ভালুকাবাজার এলাকায় শুক্রবার রাতের ঘটনা। ঘটনাস্থল থেকে মাত্র ১০ মিটার দূরে ভালুকা পুলিশ ফাঁড়ি। ঘটনার জেরে আতঙ্কিত বাসিন্দারা।

Advertisement

ফাঁড়ির গা লাগোয়া ব্যাঙ্কের ওই গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্রে দেওয়ালের ইট খুলে ও ভিতরের ছাদের সিলিং কেটে দুষ্কৃতীরা ঢোকে। ওই কিয়স্ক থেকে ৩৬ হাজার টাকা চুরি গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সপ্তাহ তিনেক আগে ভালুকা পেট্রোল পাম্পে লুঠপাট চালায় দুষ্কৃতীরা। ওই ঘটনার দিন সাতেক আগে এলাকারই একটি মদের দোকানে দিনের বেলাতেই লুঠপাঠের ঘটনা ঘটে। বিহার ও ঝাড়খন্ড সীমানা ঘেঁষা ফুলহার নদী পাড়ের ভালুকাবাজারে দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য বেড়ে চলায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

চাঁচলের এসডিপিও অভিষেক মজুমদার বলেন, ‘‘ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।’’ শুক্রবার রাতে পুলিশকর্মীদের ভূমিকা কি ছিল তাও খতিয়ে দেখা হবে বলে জানান তিনি।

Advertisement

স্থানীয় বাসিন্দা সুমিত প্রামাণিক ওই গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্রটি চালান। শুক্রবার দুপুরের আগে হওয়া লেনদেনের টাকা ব্যাঙ্কে জমা করলেও পরে হওয়া লেনদেনের টাকা কিয়স্কে রেখেই সন্ধেয় বাড়ি চলে যান তিনি। শনিবার কিয়স্ক খুলতেই বিষয়টি নজরে আসে তাঁর। সুমিত প্রামাণিক বলেন, ‘‘পাশে ফাঁড়ি। বাড়ির থেকেও নিরাপদ ভেবে কিয়স্কে টাকা রেখে গিয়েছিলাম।’’

স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীদের অভিযোগ দুষ্কৃতীদের রুখতে ব্যর্থতার পাশাপাশি আরও নানা বিতর্কে জড়িয়েছে ভালুকা ফাঁড়ি। কটূক্তি করার অভিযোগ তুলে ফাঁড়ির প্রাক্তন এক অফিসারকে জুতোপেটা করেছিলেন এক মহিলা। তোলা না দেওয়ায় এক ট্রাক চালককে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধরে জড়িয়েছিল এক পুলিশকর্মীর নাম। বছরখানেক আগেই ফাঁড়ির ৩০০ মিটার দূরে বিএসএনএল দফতরে ঢুকে ১০ লক্ষাধিক টাকার ব্যাটারি ও যন্ত্রাংশ লুঠ করে পালিয়েছিল দুষ্কৃতীরা।

হার্ডওয়্যার ব্যবসায়ী তথা হরিশ্চন্দ্রপুর-২ পঞ্চায়েত সমিতির সিপিএম কর্মাধ্যক্ষ ষষ্ঠী সাহা বলেন, ‘‘ভালুকাবাজারে একের পর এক দুষ্কৃতী কার্যকলাপে আমরা আতঙ্কিত।’’ হরিশ্চন্দ্রপুরের বিধায়ক মোস্তাক আলমও অভিযোগ তুলেছেন পুলিশের বিরুদ্ধে। তিনি বলেন, ‘‘পুলিশ তত্পর হলে এমনটা হওয়ার কথা নয়।’’ সরকারপক্ষের নির্দেশ মেনে চলতে চলতে পুলিশ নিজেদের কর্তব্য ভুলে যাওয়াতেই আইনশৃঙ্খলার অবনতি হচ্ছে বলেও দাবি করেন তিনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement